কলকাতা: আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে(Assembly Election) পাখির চোখ করে ময়দানে নেমেছে শাসকদল। বঙ্গে তাই নিজেদের ঘাঁটি শক্ত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিজেপিও। তবে বাংলায় পদ্ম শিবিরের অন্দরের রদবদল হতে চলেছে শীঘ্রই। একদিকে বিহারের নির্বাচন অন্যদিকে বাংলাতেই বিধানসভা ভোট! এর মাঝেই বঙ্গ বিজেপিতে ‘জুটি’ ভাঙতে চলেছে বলে মিলছে খবর। বর্তমানে বাংলায় দু’জন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক রয়েছেন। সাংগঠনিক কাজে সুনীল বনসল এবং রাজনৈতিক বিষয়ে কাজ করেন মঙ্গল পাণ্ডে। কিন্তু সেই জুটিই এবার ভাঙতে বাধ্য হচ্ছে গেরুয়া শিবির।
বাংলার জন্য সময় দিতে পারছেন না মঙ্গল পাণ্ডে। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিজেপি নেতৃত্ব বিহারের নেতা মঙ্গলকে ‘রাজনৈতিক’ পর্যবেক্ষক করে বাংলায় পাঠিয়েছিলেন। বিহারে তখন বিজেপি বা এনডিএ ছিল বিরোধী আসনে। ফলে বাংলার দায়িত্ব নিতে মঙ্গলের অসুবিধা হয়নি। কিন্তু নীতিশ কুমার ফের বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে এনডিএ-তে ফিরতেই ব্যস্ততা বেড়েছে পাণ্ডের। বিহারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হতেই একাধিক দায়িত্ব এসে পড়েছে মঙ্গল পাণ্ডের ঘাড়ে।তাই অবশেষে মঙ্গল পাণ্ডেকে বঙ্গ থেকে সরানোর জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে দলসূত্রে জানা যাচ্ছে।
চলতি বছরেই বিহারে বিধানসভা ভোট।(Assembly Election) এহেন অবস্থায় মঙ্গল পাণ্ডের পক্ষে বঙ্গে মনোনিবেশ অসম্ভব। তাই জুটি ভাঙা ছাড়া উপায় থাকছে না বিজেপির। সুনীল বনসল থাকলেও মঙ্গল পাণ্ডে বাংলার পর্যবেক্ষন হিসেবে থাকছেন না বলেই জানা যাচ্ছে। বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতিপর্বে যেখানে অস্ত্রা শান দেওয়ার কথা সেখানে নতুন অস্ত্র এনে কি ফল পাবে বিজেপি! তা নিয়ে কিন্তু সংশয় থেকেই যাচ্ছে। নতুন পর্যবেক্ষক বাংলার পরিস্থিতি বিধানসভা নির্বাচনের আগে আদতে বুঝে উঠতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহপ্রকাশ করছেন দলের অন্দরের অনেকেই।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1899052138531369246
উল্লেখ্য, বিজেপি মনে করছে, নতুন কাউকে বাংলায় পাঠাতে হলে এমন কাউকে চাই, যিনি এ রাজ্যের রাজনীতি ভালোভাবে বোঝেন। কিন্তু এই মুহূর্তে তেমন কোনও নাম (যিনি অন্য কোনও গুরুদায়িত্বে নেই) খুঁজে পাওয়া সহজ হচ্ছে না। সেই সূত্রেই চলতি ‘টিম’ থেকে কাউকে বেছে নেওয়ার প্রস্তাব নিয়ে নাড়াচাড়া হচ্ছে। ‘রাজনৈতিক’ গতিবিধি পর্যবেক্ষণের জন্য যে কেন্দ্রীয় ‘টিম’ এখন বাংলায় কাজ করছে তাঁদের মধ্যেই কি কেউ কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের ভূমিকা পালন করতে চলেছেন! তা নিয়ে দলের অন্দরেও জল্পনা তুঙ্গে। তবে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের(Assembly Election) আগে মঙ্গলের প্রস্থান কতটা মঙ্গল সাধন করবে বিজেপির তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।