কলকাতা: রবিবার ‘অবিচারের সাত মাস’ স্লোগান সামনে রেখে নাগরিক কনভেনশনের ডাক দিয়েছিল মেডিক্যা ল সার্ভিস সেন্টার, সার্ভিস ডক্টর ফোরাম ও নার্স ইউনিটির সদস্যরা। কনভেনশনকে সমর্থন জানিয়ে জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের(Doctors Fronts) তরফে উপস্থিত ছিলেন ডাক্তার অনিকেত মাহাতো, ডা. আসফাকুল্লা নাইয়া-সহ অন্যান্যরা। নাগরিক কনভেনশনে গিয়ে জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের তহবিলের হিসাব পেশ নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে ফেললেন চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো। বিচারাধীন একাধিক দুর্নীতির হিসাব পেশের শর্তেই তাঁরা জনগণের থেকে নিয়ে গঠিত তহবিলের হিসাব সামনে আনবেন বলেই জানালেন তিনি। এ নিয়ে এবার উঠেছে একাধিক প্রশ্ন।
Read More: চন্দ্রকোনায় বগি ফেলে এগোল মালগাড়ি! – ফের প্রশ্নের মুখে রেল
অনিকেত বলেন, “একটি কথা সদর্থকভাবে জানিয়ে রাখতে চাই, পাই পয়সার হিসাব জুনিয়র ডাক্তাররা(Doctors Fronts) আপনাদের সামনে রাখবে। সাধারণ মানুষ যে চাঁদা দিয়েছে, মাথায় করে আমরা সেই টাকা রক্ষা করি। সাধারণ মানুষের কাছে এই পয়সার হিসাব আমরা দেব। চারদিন কি পাঁচদিন নয়তো দশ দিনের মধ্যে হিসাব আমরা আপনাদের কাছে রেখে দেব।”
এই মর্মে সমস্ত হিসেব(Doctors Fronts) পেশের জন্য শর্ত রেখে তিনি বলেন, “পাই পয়সার হিসাব আপনি দিতে পারবেন তো? শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, কয়লা দুর্নীতি, গরু পাচারের পাই পয়সার দুর্নীতির হিসাব আপনি দিতে পারবেন তো? এই প্রশ্ন জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে থাকবে।”
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1899032411167449213
মাহাতোর এই মন্তব্যে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। এই তহবিলের টাকার সঙ্গে বিচারাধীন দুর্নীতির টাকার কি সম্পর্ক! বিচারাধীন দুর্নীতির অভিযোগের সঙ্গে তাদের তহবিলের তুলনা তিনি কেন করলেন? যদিও শর্তসাপেক্ষে তিনি সর্বাধিক ১০ দিনের মধ্যে হিসাব দেবেন বলে জানিয়েছেন। তবে তার তুলনায় যেকটি দুর্নীতির প্রসঙ্গ উঠেছে তার সবকটিই যেহেতু কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিচারাধীন তাই বিরোধীরা কটাক্ষ করে বলেছেন, কেন্দ্রীয় সংস্থার মতো তাঁদের হিসাব পেশের বিষয়টিও যেন দীর্ঘদিন ধরে অমীমাংসিত না হয়।