Election Commission : সম্প্রতিই দলের কর্মী সম্মেলনের মঞ্চ থেকে ‘ভূতুড়ে’ ভোটার ইস্যুতে একযোগে বিজেপি ও নির্বাচন কমিশনকে নিশানা করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লীতে সাংবাদিক বৈঠক করে নির্বাচন কমিশনকে ভোটার তালিকা সাফাই করতে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদেরা। বৃহস্পতিবারও কলকাতায় নির্বাচন কমিশনের অফিসে যায় তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দল। প্রবল চাপের মুখে শেষমেশ ভোটার তালিকায় ভুল শুধরে নেওয়ার কথা জানাতে বাধ্য হল জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
Read More: দমদমে লাইনে দাঁড়িয়ে গেল একাধিক লোকাল ট্রেন, চরম ভোগান্তির শিকার অফিসযাত্রীরা
শুক্রবার কমিশনের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, আগামী তিন মাসের মধ্যে ভুয়ো ভোটারের সমস্যার সমাধান করবে তারা। কমিশন জানিয়েছে, ভোটার কার্ডের নম্বর যাই হোক না কেন, ভোটার তালিকায় নাম থাকা একজন বৈধ ভোটার তাঁর নিজের নির্দিষ্ট বুথেই ভোট দিতে পারবেন৷ অন্য কোথাও ভোটদানের অধিকার পাবেন না তিনি৷ তৃণমূলের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, বাংলার ভোটারদের এই রাজ্যেই ভোটদান সুনিশ্চিত করতে হবে৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই দাবির কাছেও নতিস্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে কমিশন৷
তৃণমূল রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলের দাবি, গত এক সপ্তাহে দু-দু’বার আইওয়াশের চেষ্টা করেছে নির্বাচন কমিশন৷ কমিশনের হ্যান্ডবুকে স্পষ্ট জানানো হচ্ছে, কোনওভাবেই ডুপ্লিকেট এপিক কার্ড সম্ভব নয়৷ তারপরেও কীভাবে এই ডুপ্লিকেট সরবরাহ করা হচ্ছে? এই প্রশ্নের কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে।

আগামী সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব৷ এই অধিবেশনেই ডুপ্লিকেট এপিক কার্ড ইস্যুতে সংসদে ঝড় তুলতে চলেছেন তৃণমূল সাংসদরা৷ লোকসভা এবং রাজ্যসভায় নোটিশ পেশ করে ডুপ্লিকেট এপিক কার্ডের ইস্যুতে বিস্তারিত আলোচনার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা ৷ দলীয় সূত্রের দাবি, এপিক কার্ডের ইস্যুতে সংসদীয় অধিবেশনে আলোচনার দাবি জানিয়ে নোটিশ পেশ করেছেন লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, কীর্তি আজাদ এবং রাজ্যসভায় তৃণমূলের নেতা ডেরেক ও’ব্রায়ান, ডেপুটি লিডার সাগরিকা ঘোষ-সহ অন্য তৃণমূল সাংসদরাও।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1898271609712218503
প্রসঙ্গত, ভুয়ো ভোটার কার্ড এবং ডুপ্লিকেট এপিক ইস্যুতে মোদী সরকার-বিরোধী আন্দোলনে তৃণমূল কংগ্রেসের পাশে থাকছে পুরো বিরোধী শিবির৷ ডুপ্লিকেট এপিক কার্ডের বিষয়টি দেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন পদ্ধতির স্বচ্ছতার সঙ্গে জড়িত৷ এই কারণেই এপিক ইস্যুতে সরকার-বিরোধী আন্দোলনে বিরোধী শিবিরের তরফে একটি যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সূত্র।