Maa Canteen : বাংলাজুড়ে ক্রমশ বাড়ছে ‘মা’ ক্যান্টিনের জনপ্রিয়তা। বিগত ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্য বাজেটে ‘মা ক্যান্টিন’ প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাঁচ টাকায় ভাত, ডাল, তরকারি এবং ডিমের বন্দোবস্ত। ২০২১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৬টি কাউন্টার দিয়ে কলকাতায় পথ চলা শুরু ‘মা’ ক্যান্টিনের। বর্তমানে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে গিয়েছে এই সুলভ হেঁশেল। ধাপে ধাপে বেড়েছে ক্যান্টিনের সংখ্যা।
Read More: কেন্দ্রীয় প্রকল্পে অগ্রণী বাংলা – পিছিয়ে খোদ বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিই
বর্তমানে কলকাতায় ‘মা’ ক্যান্টিন চলছে ১৪২টি। তার মধ্যে আটটি চলে শহরের একাধিক সরকারি হাসপাতালে। পুরসভার সামাজিক সুরক্ষা বিভাগ সূত্রে খবর, হাসপাতালের ক্যান্টিনগুলিতে রোজ ৫০০ থেকে হাজার প্লেট বিক্রি হয়। অন্যান্য ক্যান্টিন পিছু দিনে সর্বোচ্চ ৩০০ প্লেট নির্দিষ্ট থাকে। কোথাও সেই সংখ্যা দিনে ৮০ থেকে একশোর ঘরে ঘোরাফেরা করে। শুরুর দিকে দিনে ১০০ প্লেট বিক্রি হত।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1897569839990120904
এরপর খুব অল্প সময়ে জনপ্রিয়তা পাওয়ায় একের পর এক ওয়ার্ডে খুলতে শুরু করে। এবং ক্যান্টিনের ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়। সর্বোচ্চ ১০০ প্লেট বাড়িয়ে করা হয় ৩০০। কিন্তু গত চার বছরে সব্জি, মশলা সহ বিভিন্ন জিনিসের দাম হু হু করে বেড়েছে। তারপরও কিভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে মা ক্যান্টিনের খাবারের দাম? এক পুরকর্তা বলেন, প্রতি প্লেটে সরকার ১০ টাকা করে ভর্তুকি দেয়। তার মধ্যে চাল কিনতে হয় না। শুধুমাত্র ডাল ও ডিম কিনতে হয়। তাও সরকারি সংস্থা থেকে স্বল্পমূল্যে পাওয়া যায়। বাকি টাকা ও প্লেট পিছু বিক্রি করে পাওয়া পাঁচ টাকা দেওয়া হয় রাঁধুনি কিংবা স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে। এর বাইরেও রান্নার পাচকের জন্য আলাদা টাকা বরাদ্দ থাকে। শহরের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় খাবার সরবরাহের গাড়ির জন্যও প্রতি ক্যান্টিন পিছু দিনে ৩০০ টাকা বরাদ্দ। ফলে জিনিসের মূল্য বাড়লেও খাবারের দাম থাকছে অপরিবর্তিত।