প্রতিবেদন : বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর থেকেই নারী ক্ষমতায়নের উপর বিশেষ জোর দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করেছেন একাধিক প্রকল্পের সূচনা। রাজ্যজুড়ে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়েছে ‘কন্যাশ্রী’, ‘রূপ্রশ্রী’, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রভৃতি প্রকল্পগুলি। বিশ্বদরবারে বিশেষ সম্মানে ভূষিত হয়েছে ‘কন্যাশ্রী’। এবার এই প্রকল্পের সুবিধা দ্রুত ও নির্ভুলভাবে ছাত্রীদের কাছে পৌঁছে দিতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
সামনেই আন্তর্জাতিক নারী দিবস। তার প্রাকলগ্নে রাজ্য নারী শিশু ও সমাজকল্যাণ দফতর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কন্যাশ্রী প্রকল্পে নতুন নাম অন্তর্ভুক্তি ও তথ্য যাচাইয়ের কাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করা হবে। ব্যাঙ্ক আ্যাকাউন্ট বা আইএফএসসি কোডে ত্রুটি, দুই ছাত্রীর এক নম্বর ব্যবহার ইত্যাদি কারণে কন্যাশ্রীর আবেদন নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার করে দ্রুত এবং নির্ভুূলভাবে এই পরিষেবা প্রত্যেক ছাত্রীর কাছে পৌঁছে দেওয়া যাবে বলে আশাবাদী রাজ্য।
Read More: যোগীরাজ্যে ১৪ বছরের দলিত নাবালিকাকে ২ মাস ধরে গণধর্ষণ! গ্রেফতার ১, পলাতক ৩
স্বাভাবিকভাবেই এই পদক্ষেপের ফলে সরকারি দফতরের কাজের সুবিধা হওয়ার পাশাপাশি কাজের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আসবে। সরকারি সুযোগ-সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে সময়, তথ্যগত ভূল দ্রুত সমাধানে রাজ্য প্রশাসন এআই-ভিত্তিক প্রযুক্তি আনছে, যা আবেদনকারীদের তথ্য যাচাই করে দ্রুত ভুল চিহ্নিত করতে পারবে। সাধারণ সফ্টওয়্যারের তুলনায় এআই আরও দ্রুত ও
নির্ভূলভাবে কাজ করবে, এমনটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1897616734129102971
প্রসঙ্গত, এই প্রকল্পের অধীনে ১৩-১৮ বছরের অবিবাহিত স্কুলপড়ুয়া মেয়েরা প্রতি বছর ১ হাজার টাকা এবং ১৮ বছর পর্যন্ত অবিবাহিত থেকে পড়াশোনা চালিয়ে গেলে এককালীন ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। গত ১১ বছরে প্রায় ৯০ লক্ষ ছাত্রী এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। চলতি অর্থবছরেই ১৫.৭৫ লক্ষ ছাত্রী বার্ষিক বৃত্তির জন্য নথিভুক্ত হয়েছেন, আর ২.০১ লক্ষ ছাত্রী পেয়েছেন এককালীন অনুদান। এখনও পর্যন্ত মোট ৫৯৩.৫১ কোটি টাকা বণ্টন হয়েছে। নতুন এআই ব্যবস্থার ফলে লক্ষাধিক ছাত্রীর কাছে আরও স্বচ্ছ ও দ্রুততার সঙ্গে পৌঁছে যাবে কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধা।