নয়াদিল্লি: নয়া বিলের প্রস্তাবে এবার আয়কর আধিকারিকদের দেওয়া হচ্ছে অবাধ বিচরণের সুবিধা! এই বিলে আয়কর অফিসারদের কোনও করদাতার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট, ব্যক্তিগত ইমেল, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, অনলাইন বিনিয়োগ অ্যাকাউন্ট এবং ট্রেডিং অ্যাকাউন্টে প্রবেশাধিকার দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে বলে একাধিক রিপোর্টে জানানো হয়েছে। কোনও সন্দেহ হলেই এই অধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন আয়কর আধিকারিকরা।
Read More: বকেয়া ৩ কিস্তি ডিএ দেবে না মোদী সরকার – হতাশ সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীরা
বৃহস্পতিবার থেকে সিলেক্ট কমিটিতে নয়া প্রস্তাবিত আয়কর বিল নিয়ে দু’দিনের আলোচনা শুরু। তবে এর মধ্যেই কেন্দ্রের আনা এই বিল নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। বলা হচ্ছে, আয়কর দপ্তরের নির্দিষ্ট আধিকারিকরা সম্ভাব্য করদাতার ব্যক্তিগত তথ্য– ই-মেল আইডি, শেয়ার বাজারে লেনদেনের ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট বা ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামের মতো সমাজমাধ্যমের অ্যাকাউন্টে হানা দিতে পারবেন। এই আইনে গোপনীয়তার অধিকার নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে বলে মনে করছে একটি মহল। সুপ্রিম কোর্টের কেএস পুত্তস্বামী মামলার রায় অনুযায়ী, ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার একটি মৌলিক অধিকার এবং এর ওপর কোনও হস্তক্ষেপ হতে হলে সেটি আইনসিদ্ধ, প্রয়োজনীয় হতে হবে।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1897603965367497009
কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার ১৯৬১ সালের আয়কর আইন ঢেলে সাজাতে সংসদে নতুন আয়কর বিল পেশ করেছিল বাজেট অধিবেশনের প্রথম পর্বে। সেই বিল লোকসভার সিলেক্ট কমিটিতে আলোচনার জন্য পাঠানো হয়েছে। বিরোধী শিবিরের সাংসদরা সিলেক্ট কমিটিতে এই নিয়ে প্রশ্ন তুলতে চাইছেন। ফলে সিলেক্ট কমিটির বৈঠক উত্তপ্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিরোধীদের অভিযোগ, নয়া আয়কর আইনে এই ক্ষমতা দেওয়া হলে তা ব্যক্তি পরিসরের অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হবে। এটি নাগরিকের গোপনীয়তার অধিকার ভঙ্গ করবে। সুপ্রিম কোর্ট একটি মামলার রায়ে ব্যক্তিগত পরিসরের অধিকারকে সংবিধানের মৌলিক অধিকারের সংজ্ঞা দিয়েছে। এটি তার পরিপন্থী হবে।