ওয়াশিংটন: ডোনাল্ড ট্রাম্পের পারস্পরিক শুল্ক চাপানো নিয়ে ইতিমধ্যেই ভারতের চাপ বাড়ছিল। ট্রাম্পের শপথের পর থেকেই মার্কিনভূমিতে একাধিক নীতি বদলের দিকে মনোযোগ দিয়েছে আমেরিকা। এর মধ্যেই শুল্ক নীতির কোপ পড়ল ভারতের উপরও। ভারতের সময় অনুসারে বুধবার সকালেই আমেরিকার কংগ্রেসে যৌথ অধিবেশনে বক্তব্য রাখার সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, পারস্পরিক শুল্ক চাপানোর নীতি থেকে বাদ পড়ছে না ভারত।
দ্বিতীয় বার আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর বুধবারই প্রথম মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে বক্তৃতা দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানেই ভারতের উপর পাল্টা শুল্ক চাপানোর কথা ঘোষণা করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কবে থেকে আমেরিকায় ভারতীয় পণ্যের উপর পাল্টা শুল্ক চাপানো হবে, সেই তারিখও জানিয়ে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ভারত ছাড়াও চিন, দক্ষিণ কোরিয়া, কানাডা, মেক্সিকোর মতো দেশগুলির উপর পাল্টা শুল্ক চাপানোর কথা বললেন তিনি।
এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘‘দীর্ঘ দিন ধরে অন্যান্য দেশগুলি আমাদের উপর শুল্ক চাপিয়ে আসছে, এ বার আমাদের পালা। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চিন, ব্রাজিল, ভারত এবং অসংখ্য অন্যান্য দেশ আমাদের উপর যত বেশি শুল্ক আরোপ করে, আমরাও তত শুল্ক আরোপ করব।’’ এই মর্মে তাঁর কথায় উঠে আসে ভারত প্রসঙ্গ। ট্রাম্প বলেন, ‘‘ভারত আমাদের উপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। এই ব্যবস্থা আমেরিকার প্রতি ন্যায্য নয়, কখনওই ছিল না।’’
এদিনের বক্তৃতায় তিনি শুল্ক কবে থেকে চালু হবে তাও জানিয়ে দেন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা আগামী ২ এপ্রিল থেকে পারস্পরিক শুল্ক আরোপ করব। আমি চেয়েছিলাম ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর করতে। কিন্তু অনেকে ভাবতে পারেন, আমি এপ্রিল ফুল করছি। তাই ২ এপ্রিল থেকে পারস্পরিক শুল্ক চালু করব।’’ এই ঘোষণার পরেই জোর চর্চা চলছে আন্তর্জাতিক মহলে। পূর্বেই তিনি জানিয়েছিলেন যে দেশ মার্কিন পণ্যের উপর যত বেশি শুল্ক চাপাবে, আমেরিকাও সেই সব দেশের পণ্যের উপর তত পরিমাণ আমদানি শুল্ক বসাবে। সেই ঘোষণায় যে তিনি এখনও অনড় তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিলেন ট্রাম্প।