কলকাতা : দলনেত্রীর নির্দেশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই শুরু হয়ে গেল সাংগঠনিক তৎপরতা। বৃহস্পতিবার মেগা সম্মেলন থেকে বিজেপির ‘ভূতুড়ে’ ভোটার নিয়ে জনগণকে সতর্ক করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলকে তৎপর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। তার একদিনের মধ্যেই মাঠে নেমে পড়ল পদ্মশিবির। ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় সাংগঠনিক বৈঠক ডাকা হয়েছে। শুক্রবার বৈঠক সেরেছেন উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূল নেতৃত্ব। দুপুরে মধ্যমগ্রামের দলীয় কার্যালয়ে আলোচনায় বসেন বারাসত সাংগঠনিক জেলার নেতৃত্ব। ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, হাবড়ার বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, দেগঙ্গার বিধায়ক রহিমা বিবি, রাজারহাট নিউটাউনের বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়-সহ সকল ব্লকের মাদার ও শাখা সংগঠনের সভাপতিবৃন্দ।
শনিবার বীরভূমে বৈঠক ডেকেছেন অনুব্রত মণ্ডল। এই বৈঠকে কোর কমিটির সব সদস্য, জেলার সমস্ত বিধায়ক, ব্লক সভাপতি, সহ-সভাপতি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সহ-সভাপতি, সবক’টি পুরসভার পুরপ্রধান, জেলা পরিষদের সকল সদস্য, শাখা সংগঠনের জেলা সভাপতি, অঞ্চল সভাপতিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এদিন বৈঠক হবে মালদহেও। উপস্থিত থাকবেন রাজ্যসভার সাংসদ, জেলার ৮ বিধায়ক, জেলা কমিটির সদস্যরা, জেলা পরিষদের সভাধিপতি-সহ সব সদস্য ও দলের সর্বস্তরের সাংগঠনিক নেতৃত্ব। এছাড়াও থাকবেন পুরপ্রধানরা। থাকবেন সোশ্যাল মিডিয়ার জেলা নেতৃত্বও। প্রস্তুতি চলছে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, রায়গঞ্জেও।
পাশাপাশি, দক্ষিণবঙ্গেও জেলায় জেলায় ডাকা হয়েছে বৈঠক। কলকাতায় ওয়ার্ডভিত্তিক প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ইতিমধ্যেই তাঁর বিধানসভা এলাকায় বৈঠক ডেকেছেন। উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতাতেও শুরু হয়েছে সাংগঠনিক তৎপরতা। এদিন দলের তরফে একটি কার্টুন শেয়ার করেছে। সেখানে বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করে ভূতের জবানিতে বলা হয়েছে, “ওহে বিজেপি, ভোটার তালিকায় আমার ঢোকানো বন্ধ করো” অর্থাৎ, বিজেপির এই অপকর্মে ও চক্রান্তে ভূতেরাও যথেষ্ট বিরক্ত, তা মজার ছলে তুলে ধরা হয়েছে।