কলকাতা : এবার কর্ণগড়ের রানি শিরোমণির অবদান ও মাহাত্ম্যকে পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করতে চাইলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। কৃষকদের নিয়ে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ইতিহাসে উজ্জ্বল রানি শিরোমণি। মেদিনীপুরের চুয়াড় বিদ্রোহে প্রধান ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। তাঁকে সিলেবাসে পাঠ্য করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে সিলেবাস কমিটির কাছে পাঠাতে চান শিক্ষামন্ত্রী। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনি নেতাজি স্টেডিয়ামে ৪০তম রাজ্য প্রাথমিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসাবে যোগ দিয়ে জানালেন সেই কথা।
ব্রাত্য জানান, এ বিষয়ে তাঁর কাছে সবংয়ের বিধায়ক তথা মন্ত্রী ডাঃ মানসরঞ্জন ভুঁইয়াও বেশ কয়েকবার আবেদন জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষও বিষয়টি বেশ কয়েকবার উপস্থাপন করেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “আমি সর্বতোভাবে চেষ্টা করব, যাতে চুয়াড় বিদ্রোহের নেত্রী রানি শিরোমণির গড়কে বিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা যায়।” অনুষ্ঠানে ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি গৌতম পাল, মন্ত্রী মানসরঞ্জন ভুঁইয়া, শিউলি সাহা, শ্রীকান্ত মাহাতো, জেলাশাসক খুরশেদ আলি কাদরি, পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার-সহ প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের বিভিন্ন আধিকারিক ও বিধায়করা।
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন জেলা থেকে প্রাথমিকস্তরে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে রাজ্যস্তরের বাৎসরিক এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হয়। এদিন ব্রাত্য বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যে কোনও সময় যে দায়িত্ব দেবেন আমরা তা মাথা নত করে মেনে নেব। যদি বলেন পার্টি অফিস ঝাঁট দিতে, তাই করব। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, মানসদাও হয়তো সেটাই করবেন। তিনি আরও বলেন, আগের থেকে জঙ্গলমহলের পরিবেশ অনেকটাই ভাল হয়েছে। এখান থেকে অনেকে ফুটবলে চান্স পেয়ে কলকাতা এবং দেশের হয়ে খেলছে। আমরা চাইব, একেবারে জঙ্গলমহল এলাকার থেকে আগামী দিনে আরও খেলোয়াড় উঠে আসবে রাজ্যস্তরে।” মানস বলেন, জঙ্গলমহলে আগের থেকে অনেক খেলাধুলার মান উন্নয়ন ঘটেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ কয়েকটি স্টেডিয়াম তৈরি করে দিয়েছেন। পাশাপাশি যুব দফতরের পক্ষ থেকে বিশেষ ফান্ড দিয়ে ইন্ডোর স্টেডিয়ামও তৈরি করা হয়েছে একাধিক বিদ্যালয়গুলিতে।