কলকাতা: মেগা মঞ্চ থেকে এবার ভুয়ো ভোটার নিয়ে কড়াকড়ি ব্যবস্থা নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ভূতুড়ে ভোটারদের সাফাই অভিযানে নেমে নিয়া কমিটি গঠন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ভোটার তালিকায় বেনোজল রুখতে রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর নেতৃত্বে একটি কমিটি তৈরি করলেন তিনি। সেই কমিটি ভোটার তালিকা নিয়ে কাজ করবে।
রাজ্য কমিটিতে থাকছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মালা রায়, দেবাংশু ভট্টাচার্য্য, জগদীশ বাসুুনিয়া, বাপি হালদার, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুমন কাঞ্জিলাল-সহ একাধিক শীর্ষ নেতা। রাজ্য কমিটির পাশাপাশি, জেলাতেও কোর কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। জেলার কোর কমিটি ভোটার তালিকায় ভুয়ো ভোটার ধরে রাজ্য কমিটির কাছে রিপোর্ট পাঠাবে। ‘ভূতুড়ে’ ভোটার ধরতে এই কমিটিকে ১০ দিনের ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিনের সভায় মমতা অভিযোগ তুলে বলেছেন, ‘ভূতুড়ে’ ভোটারের মাধ্যমে বাংলা দখলের খেলা করছে বিজেপি। নির্বাচন কমিশনের আশীর্বাদে এই কাজ চলছে। তৃণমূল নেত্রীর আরও দাবি, “বাংলার ভোটার তালিকায় হরিয়ানার নাম। হরিয়ানা, পাঞ্জাব, রাজস্থান, বিহারের ভোটার বাড়ানো হয়েছে। মুর্শিদাবাদের ভোটারগুলিকে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় নিয়ে আসবে। মুর্শিদাবাদের নেতারা সতর্ক থাকুন।”

তিনি আরও বলেন, “আমি যতদূর জানতে পেরেছি অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্রিলিয়ান্ট মাইন্ডস, কোম্পানি ইন্ডিয়া ৩৬০ নামে দুটি এজেন্সি আছে। তারা ডেটা অপারেটদের কাছে গিয়ে নিয়েছে। কিছু বিএলআরও-কে সাথে নিয়ে অনলাইনে কারসাজি করেছে। বাংলার লোক যাতে ভোট দিতে না পারে তাই একই এপিক কার্ডে বাইরের লোকের নাম তুলেছে।”
এই ভুয়ো ভোটারদের নিয়ে যাতে আগামী ছাব্বিশের নির্বাচনে বিজেপি কোনো রণনীতি সাজাতে না পারে সেই জন্যই তৎপর হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি এদিন নেতাজি ইন্ডোর থেকে আরও জানান, “ভোটার লিস্ট ক্লিন করতে হবে। তা না হলে ইলেকশনের কোনও প্রয়োজন থাকবে না। ভয় পাবেন না। একটা এজেন্সিকে দিয়ে অনলাইনে এসব করানো হয়েছে। তার মানে বাংলার লোক যখন ভোট দিতে যাবে বাইরের ভোটারের নামে চলে যাবে।”