কলকাতা : বহু চেষ্টা করেও দলের সাংগঠনিক কাঠামোকে জোরালো করতে ব্যর্থ হয়েছে বঙ্গ বিজেপি। তাই এবার ভুয়ো বা ‘ভূতুড়ে’ ভোটারদের কাজে লাগিয়ে বাংলায় জমি দখলে মরিয়া তারা। আর তাতে মদত দিচ্ছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মেগা বৈঠকের মঞ্চ থেকে পদ্মশিবিরের এহেন ষড়যন্ত্র ফাঁস করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় নেতাদের আরও একবার সতর্ক করলেন।
বৃহস্পতিবার মমতা বলেন, “ভোটার লিস্ট ক্লিন করতে হবে। তা না হলে ইলেকশনের কোনও প্রয়োজন থাকবে না। ভয় পাবেন না। একটা এজেন্সিকে দিয়ে অনলাইনে এসব করানো হয়েছে। আমি যতদূর জানতে পেরেছি অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্রিলিয়ান্ট মাইন্ডস, কোম্পানি ইন্ডিয়া ৩৬০ নামে দুটি এজেন্সি আছে। তারা ডেটা অপারেটদের কাছে গিয়ে নিয়েছে। কিছু বিএলআরও-কে সাথে নিয়ে অনলাইনে কারসাজি করেছে।”

তৃণমূল নেত্রীর কথায়, “বাংলার লোক যাতে ভোট দিতে না পারে তাই একই এপিক কার্ডে বাইরের লোকের নাম তুলেছে। তার মানে বাংলার লোক যখন ভোট দিতে যাবে বাইরের ভোটারের নামে চলে যাবে। বাংলার ভোটার তালিকায় হরিয়ানার নাম। হরিয়ানা, পাঞ্জাব, রাজস্থান, বিহারের ভোটার বাড়ানো হয়েছে। মুর্শিদাবাদের ভোটারগুলিকে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় নিয়ে আসবে। মুর্শিদাবাদের নেতারা সতর্ক থাকুন।”
মমতা জানান, “আধার কার্ড কেলেঙ্কারি করেছে। বাংলা দখলের খেলা চলছে। ভূতুড়ে ভোটার দেখে নিন নইলে যেকোনও দিন এনআরসি, সিএএ করে আপনাকে বাদ দিয়ে দেবে। নির্বাচন কমিশনের আশীর্বাদে কেলেঙ্কারি হচ্ছে। অনেক বিএলআরও ভালো করে কাজ করেননি। যারা এই কাজ করেছে, আমি তাদের হাতেনাতে ধরব।” ভোটার তালিকা থেকে ‘ভূতুড়ে’ ভোটার বাদ দেবার জন্য ১০ দিনের ডেডলাইন বেঁধে দেন মমতা। ‘ভূতুড়ে’ ভোটার চিহ্নিতকরণে সুব্রত বক্সির নেতৃত্বে গড়ে দেন একটি কমিটিও।
উক্ত কমিটিতে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ দলের একাধিক শীর্ষ নেতৃত্ব। জেলা থেকে এই কমিটির কাছে রিপোর্ট আসবে। ওই কমিটি কাজ না করলে প্রয়োজনে নিজে ‘ভূতুড়ে’ ভোটার বাছাইয়ের কাজ করবেন বলেও জানান মমতা। উল্লেখ্য, এর আগে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে অনলাইন ভোটার তালিকার নামে কারসাজির অভিযোগে প্রথমবার সরব হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই।