নয়াদিল্লি: দেশের বেকারত্ব সমস্যা চরমে। এর মাঝেই ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হল চাকরির আবেদন নিয়ে। ২টি চাকরির জন্য সন্ধান করা হচ্ছিল কর্মীর। ইন্টার্নশিপের এই দুই চাকরির জন্য আবেদনকারীর সংখ্যা দেখে মাথায় হাত পড়ল সংস্থার। নিজের সংস্থার ভারতীয় শাখায় চাকরি প্রার্থীর এমন ভিড় দেখে রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করলেন আনম্যানড ডায়নামিক্সের সিইও তথা বিজ্ঞানী শ্রীনাথ মল্লিকার্জুন।
ইন্টার্নশিপে দুইজন কর্মী লাগবে আর তাতেই আবেদনকারী ১২০০। শ্রীনাথ মল্লিকার্জুন এহেন চিত্র দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করে লিখেছেন, জনসংখ্যার চাপে বিপর্যয়ের পথে এগিয়ে চলেছে ভারত। পাশাপাশি দেশের শিক্ষাব্যবস্থার বেহাল অবস্থা নিয়ে মুখ খুললেন শ্রীনাথ মল্লিকার্জুন।
সোশাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, ‘আমি মনে করি ভারতে কর্মসংস্থান ও যোগ্য কর্মীর অভাব বেকারত্বকে গুরুতর জায়গায় নিয়ে গিয়েছে। দেশের প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমগুলি এ বিষয়ে কথা বলতে ভয় পায়।’ এই মর্মে তিনি নিজের সংস্থায় ১২০০ আবেদনকারীর প্রসঙ্গেও লেখেন। এই ১২০০ জনের মধ্যে ২০ জনকে শেষ ধাপের পরীক্ষার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
পাশাপাশি তিনি সোশাল মিডিয়ায় ভারতের শিক্ষাব্যবস্থার পরিকাঠামোগত পাঁচটি ত্রুটি তুলে ধরেছেন। যেগুলি হল…
১. বেশিরভাগ আইআইটি শিক্ষার্থীরা জেইই পাস করার পর পড়াশোনা বন্ধ করে দেয়। যার ফলে তারা বাস্তব জগতে চাকরির জন্য অযোগ্য হয়ে পড়ে।
২. বেসরকারি কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলি উপযুক্ত শিক্ষা প্রদানে ব্যর্থ।
৩. বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্নাতকরা প্রকৃত জ্ঞান অর্জন না করেই ডিগ্রি অর্জন করে।
৪. খারাপ সিলেবাস, ভিত্তিহীন পরীক্ষা ও অযোগ্য শিক্ষক শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের জন্য এক বিরাট সমস্যার কারণ।
৫. যার ফলে, লক্ষ লক্ষ স্নাতক কল সেন্টার, ব্যাক অফিস ও কেরানির চাকরির জন্য উপযুক্ত।
দেশের ঘুনধরা শিক্ষা ব্যবস্থার এমনই বেহাল ছবি তুলে ধরে মল্লিকার্জুন লিখেছেন, কোন দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি অত্যন্ত লাভজনক একটি দিক, তবে ভারতের ক্ষেত্রে এটা বিপর্যয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জন্য তাঁর পরামর্শ, শুধুমাত্র টেক্সটবই নয়, এই সংক্রান্ত ভালো বিদেশি বই পড়া উচিত। বুদ্ধিহীনের মতো প্রথাগত শিক্ষার বাইরে বেরিয়ে এবং হাতে-কলমে শেখার উপর জোর দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি