প্রতিবেদন : মহাকুম্ভের জল ঘিরে ফের মাথাচাড়া দিল বিতর্ক। প্রয়াগরাজের কুম্ভে ত্রিবেণীর যে জলে পুণ্যার্থীরা স্নান করছেন, তার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ (সিপিসিবি) এবং জাতীয় পরিবেশ আদালত (এনজিটি)-রিপোর্ট। এবার প্রয়াগরাজের কুম্ভে স্নান করে ফেরার পরে ত্বকে সমস্যা দেখা দিয়েছে রাঁচির বেশ কিছু পুণ্যার্থীর। এমনই দাবি করেছেন সেখানকার ত্বক বিশেষজ্ঞেরা। কারও চুলকানি, কারও বা ত্বক জ্বলছে বলে অভিযোগ।
ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাঁচির বেশ কয়েক জন ত্বক বিশেষজ্ঞ। তাঁরা জানিয়েছেন, কুম্ভে স্নান সেরে আসার পরে ত্বকের সমস্যা দেখা দিয়েছে কয়েক জনের। তাঁরা চিকিৎসকের দ্বারস্থ হয়েছেন। যশবন্ত লাল নামে জনৈক চিকিৎসক বলেন, ‘‘সম্প্রতি ত্বকের সমস্যা নিয়ে কুম্ভফেরত বহু পুণ্যার্থী আমাদের কাছে আসছেন। অনেকেরই ফাংগাল সংক্রমণ রয়েছে। কারও বা চুলকানি হয়েছে। ভিজে জামাকাপড়ে দীর্ঘক্ষণ থাকলে বা নোংরা জলের সংস্পর্শে এলে এমনটা হতে পারে।’’ রাঁচীর এদালুহাতুর এক বাসিন্দা প্রয়াগরাজে কুম্ভস্নান করতে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে সারা শরীরে তাঁর র্যাশ বার হয়েছে। ‘‘কুম্ভ থেকে ফেরার পরে সারা গায়ে চুলকানি হয়। আর সহ্য করতে পারিনি। চিকিৎসকের কাছে গিয়েছি’’, জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের রিপোর্টে আশঙ্কা করা হয়েছিল যে কুম্ভমেলার সময়ে নদীর জলে ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের অনুসারে, কেন্দ্রের রিপোর্টে বলা হয়েছে যে জানুয়ারির ১২-১৩ তারিখে নদীর জল পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, বায়োকেমিক্যাল অক্সিজেন ডিম্যান্ড (বিওডি)-এর নিরিখে ওই জল একৈবারই স্নানের জন্য উপযুক্ত নয়। বিভিন্ন সময়ে নদীর জল পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, তাতে যে মাত্রায় ফিকাল কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়া রয়েছে, তা স্নানের উপযুক্ত নয়। রিপোর্টে আরও আশঙ্কা করা হয়, ‘শাহি স্নান’-এর সময় পুণ্যার্থীদের ভিড়ের কারণে জলে আরও বৃদ্ধি পেতে পারে ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ।