কলকাতা : সোমবার আলিপুরের ধনধান্য অডিটোরিয়ামে স্বাস্থ্য আধিকারিক ও চিকিৎসকদের সঙ্গে সভায় বসতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশীয় রাজনীতির আঙিনায় যা নজিরবিহীন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। বাংলা তথা দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এমনটা আগে কোনওদিন দেখা যায়নি। চিকিৎসা পরিকাঠামো ও পরিষেবার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ দিশা দেখাচ্ছেন মমতা। কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং আগামী দিনের পরিকল্পনা কী, তা বিশদে জানতেই চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন তিনি।
এদিন ‘চিকিৎসার আর এক নাম সেবা’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ, সুপার, বিভিন্ন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক-সহ বিভিন্ন স্তরের চিকিৎসকদের সঙ্গে মিলিত হবেন মুখ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্যসচিব ছাড়াও দফতরের অন্যান্য শীর্ষ আধিকারিক এই সভায় উপস্থিত থাকবেন। চিকিৎসকদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ক যে পদক্ষেপ ইতিমধ্যে গ্রহণ করেছে রাজ্য, পর্যালোচনা করা হবে সে বিষয়গুলি নিয়েও।
আমন্ত্রণমূলক এই সভার আয়োজন করেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের গ্রিভান্স অ্যান্ড রিড্রেসাল কমিটি। সেজন্য রাজ্যের প্রতিটি জেলায় গিয়ে মেডিক্যাল কলেজ এবং জেলা স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসকদের নিয়ে আলোচনা করেছে ওই কমিটি। কিছু সমস্যা কলেজ স্তরে এবং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক স্তরে মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাজ্য হেলথ সার্ভিসে যুক্ত চিকিৎসকদের পাশাপাশি ২৪টি সরকারি ও দু’টি মেডিক্যাল কলেজ, ইএসআই এবং কলকাতা পুরসভার চিকিৎসকদের সঙ্গেও আলোচনা করেছে কমিটি। কথা বলেছে কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গেও। আমন্ত্রণ জানানো হয় চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য আধিকারিকদেরও। পিএইচএ-র পক্ষ থেকে আন্দোলনকারী ডাক্তারদের দ্বিচারিতা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন মৃত্যুঞ্জয় পাল। “শিরদাঁড়া বেঁকিয়ে তথাকথিত আন্দোলনকারীরা এখন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কার্ড সংগ্রহ করতে তৎপর। তিলোত্তমার আবেগকে কাজে লাগিয়ে যাঁরা মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে ব্যবসা করেছিল, সেই জোচ্চুরি ধরা পড়তে এখন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর ছত্রছায়ায় আসতে চাইছেন”, জানান তিনি।