কলকাতা: ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে বাংলার রাজনৈতিক দলগুলি। বিরোধী শিবিরও সিংহাসন দখলের স্বপ্ন নিয়ে ময়দানে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু পদ্ম শিবিরের অন্দরের জট কাটাতে গিয়ে ময়দানে নামা তো দূরের কথা রণনীতি সাজাতে গিয়েই হিমসিম খেতে হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, গেরুয়া শিবিরের ৩৯টি সাংগঠনিক জেলায় জেলা সভাপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া হলেও চারটি সাংগঠনিক জেলায় তা স্থগিত রয়েছে।
বিজেপির বনগাঁ, ব্যারাকপুর, যাদবপুর ও দার্জিলিং সাংগঠনিক জেলার জেলা সভাপতি নির্বাচন স্থগিত রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সাংগঠনিক জেলাগুলিতে ৫০ শতাংশের বেশি মণ্ডল নির্বাচন করা যায়নি। তাই এই সিদ্ধান্ত বলে বিজেপির তরফে জানা গিয়েছে। লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, বনগাঁ এবং দার্জিলিং সাংগঠনিক জেলায় বিজেপির সাংসদ রয়েছেন। তার মধ্যে বনগাঁ আবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের এলাকা। ব্যারাকপুরে পদ্ম শিবিরের নেতা অর্জুন সিং। তা সত্ত্বেও এই ৪ সাংগঠনিক জেলায় সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া স্থগিত।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ জায়গায় মণ্ডল সভাপতি নির্বাচন হয়েছে। বাকি কিছু জায়গায় স্থগিত রয়েছে। বিজেপি সূত্রে খবর, মণ্ডল সভাপতি নির্বাচন নিয়ে দলের মধ্যে ঝামেলার জেরে নির্বাচন হয়নি। দলের কোন্দল কোনও নতুন ব্যাপার নয়, গেরুয়া শিবিরের অন্দরে পুরাতন ও নবীন্দের যুদ্ধ এমনিতেই বহুবার প্রকাশ্যে এসেছে। এরপর জেলায় জেলায় সংগঠনের এই হাল দেখে ছাব্বিশে যে নির্বাচন আশানুরূপ ফল দেবে না তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।