প্রতিবেদন : ক্ষমতার আসার পর থেকেই একাধিকবার ছলে-বলে-কৌশলে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ চালু করতে উঠেপড়ে লেগেছে মোদী সরকার। এবং তা সম্পূর্ণ গণতন্ত্রের উল্টো পথে হেঁটেই। বিরোধীদের মতামতের বিলকুল তোয়াক্কা না করে ‘এক দেশ, এক ভোট’ নীতি কার্যকর করতে চায় তারা। সংসদে আনা হয়েছিল বিলও। যদিও বিরোধীদের চাপে পড়ে সেই বিল জেসিপিতে পাঠাতে বাধ্য হয় কেন্দ্র৷ দুটি বৈঠকও হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই৷ ২৫ ফেব্রুয়ারি তৃতীয়বার বৈঠকে বসার কথা জেপিসির৷ এই আবহেই গোপনে দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এক দেশ এক ভোট ইস্যুতে জনমত তৈরির কাজ শুরু করে দিল শাসকদল৷
নিরঙ্কুশ ক্ষমতা হাসিলের উদ্দেশ্যে এই বিল পাশ করতে মরিয়া বিজেপি। এই লক্ষ্যে প্রচারের জন্য দেশের বিভিন্ন রাজ্যে গিয়ে সেখানকার একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, বিদ্বজ্জনমহল, আইনজীবী মহল, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন পদ্মশিবিরের নেতা-কর্মীরা৷ তাঁদের বোঝানো হচ্ছে এক দেশ এক ভোট সংক্রান্ত দুটি বিলের কার্যকারিতা৷ বিজেপির দাবি, এই বিল দুটি কার্যকর হলে এবং সর্বত্র একসঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভা ভোটের আয়োজন করা সম্ভব হলে দেশের সামগ্রিক বিকাশ নাকি নিশ্চিত হবে!

দিল্লি সূত্র জানাচ্ছে, বিজেপির শীর্ষ নেতাদের তরফে এই বিশেষ প্রচারাভিযানের দেখভাল করছেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, বিজেপি নেতা ওমপ্রকাশ ধনকর ও বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনশল৷ এক দেশ এক ভোট সংক্রান্ত বিল পর্যালোচনার আগেই আগ বাড়িয়ে বিজেপির এই প্রচেষ্টায় স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ বিরোধী শিবির৷ এই বিষয়ে জেপিসির আগামী বৈঠকেই তীব্র প্রতিবাদ জানাতে পারেন বিরোধী সাংসদরা।