বারবার আবেদনেও মিলছিল না সমাধান। বহুদিন ধরেই দাবি জানাচ্ছিল রাজ্য। অবশেষে তার সামনে নতিস্বীকার করতে বাধ্য হল কেন্দ্র। রেশনের খাদ্যশস্যে ভর্তুকিবাবদ রাজ্যের প্রাপ্য বকেয়ার একাংশ মিটল। রাজ্যের খাদ্য দফতর সূত্রের খবর, ২০২৩-’২৪ আর্থিক বছর থেকে এই খাতে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ বন্ধ থাকার পর প্রাপ্যের অর্ধেক টাকা এতদিনে বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। খাদ্যশস্যে ভর্তুকিবাবদ বকেয়া মোট ১২ হাজার ৭১৪ কোটি টাকা। এই টাকা মেটানোর দাবিতে একাধিক বার কেন্দ্রের কাছে দরবার করেছে রাজ্য। অবশেষে কেন্দ্রের তরফে দু’দফায় এই খাতে প্রায় সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা ছাড়া হয়েছে।
ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ২,১৩০ কোটি টাকা এবং জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে ৫,২৭০ কোটি টাকা রাজ্যকে দিয়েছে কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার অধীনে রাজ্যের ৬ কোটি রেশন গ্রাহককে চাল-গম সরবরাহ করে থাকে সরকার। গমের জন্য খরচ বহন করে কেন্দ্রীয় সংস্থা এফসিআই। আর রাজ্য সরকার চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কিনে রাইস মিলে পাঠায় চাল উৎপাদনের জন্য। কিন্তু ২০২৩-’২৪ আর্থিক বছরে কেন্দ্র এই খাতে টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে বিপুল পরিমাণ অর্থ বকেয়া রয়ে গিয়েছে।
উল্লেখ্য, একাধিকবার কেন্দ্রের এহেন বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা সত্ত্বেও বকেয়া টাকা দেওয়ার ব্যাপারে একটি বাক্যও খরচ করেনি কেন্দ্র। এমনিতেই একশো দিনের কাজ, আবাস যোজনায় কেন্দ্রের বরাদ্দ অর্থ বকেয়া রয়েছে। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী বহুবার কথাও বলেছেন। তবুও মেলেনি ন্যায্য বরাদ্দ।