নির্বাচন এলেই উত্তরবঙ্গে পরিযায়ী পাখির মতো ভিড় জমাতে শুরু করেন বিজেপি নেতারা। দেন হাজারো প্রতিশ্রুতি। কিন্তু ভোট মিটে গেলেই আর দেখা মেলে না তাদের। আর প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন? সে তো দূর অস্ত। উত্তর বাংলায় বন্যা-সমস্যা দূরীকরণে আজ পর্যন্ত কোনও উদ্যোগ নেয়নি মোদী সরকার। বুধবার বিধানসভায় ভারত-ভুটান যৌথ নদী কমিশন গঠন করা নিয়ে ফের সরব হলেন আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। বিধানসভায় ইন্দো-ভুটান নদী কমিশন গঠনের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন তিনি। ভুটান পাহাড় থেকে নেমে আসা সিসামারা নদী ভাঙনের জন্য সন্নিহিত এলাকার অধিবাসীদের দুর্গতির কথা বিধানসভায় ব্যাখ্যা করেন তিনি।
বিধায়কের কথায়, অবিলম্বে বাঁধ নির্মাণ প্রয়োজন। এপ্রসঙ্গে অধ্যক্ষের মাধ্যমে সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া ও পরিষদীয় মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, ভুটানের ৭৬টি নদী উত্তরবঙ্গকে ধ্বংস করছে। ইন্দো-বাংলাদেশ, ইন্দো-নেপাল রিভার কমিশন থাকলেও ইন্দো-ভুটান নদী কমিশন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কিছু করেনি। মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে একটি সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল পাঠানোর নির্দেশ দিলেও এই বিষয়ে বিজেপি পরিষদীয় দল পরবর্তীকালে আর কোনও উৎসাহ দেখায়নি। অথচ, বিরোধী দলনেতার সম্মতিক্রমেই পদক্ষেপ নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এরপর অধ্যক্ষ জানান, বিরোধী দল নমনীয়ভাবে আবেদন জানালে বিষয়টি নতুন করে বিবেচনা করা হতে পারে। এদিকে, ভারত-ভুটান নদী কমিশন নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, বিধানসভায় সর্বসম্মতভাবে প্রস্তাব পাশ হওয়ার পরে বিরোধীদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু পুরো বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।