নয়াদিল্লি: মহাকুম্ভ নিয়ে বিতর্ক যেন থামছে না। এহেন পরিস্থিতিতে নয়াদিল্লি স্টেশনে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় কেন্দ্রের তথা রেলের বিরুদ্ধে উঠেছে একাধিক অভিযোগ। এবার দিল্লি হাইকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে কেন্দ্র এবং রেল। উচ্চ আদালতের প্রশ্ন, কোন যুক্তিতে এত টিকিট বিক্রি করা হল? ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি টিকিট দেওয়া হল কোন হিসাবে?
বুধবার দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা বিচারাধীন হয়। সেখানেই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্নের মুখে পড়তে হল রেলকে। আদালত এদিন রেলের কাছে সরাসরি জানতে চায়, শনিবার রাতে কেন বাড়তি টিকিট দেওয়া হল যাত্রীদের? কেন ট্রেনগুলির যাত্রী পরিবহণ ক্ষমতার উপরে নজর রাখা হল না? টিকিট বিক্রির সময় বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হল না?

পাশাপাশি দিল্লি হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের মন্তব্য, সংবিধান অনুযায়ী রেলের অফিসারদের দায়িত্ব, প্রতিটি ট্রেনেরই সুনির্দিষ্ট সংখ্যার যাত্রীকেই টিকিট দেওয়া। সেই সংখ্যাটা অবশ্যই লিখিতভাবে থাকতে হবে কোচের বাইরে। এই মর্মে যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য রেল কী কী পদক্ষেপ করেছে তা সুনির্দিষ্টভাবে জানতে চায় আদালত।
প্রধান বিচারপতি ডিকে উপাধ্যায় এবং বিচারপতি তুষার রাও গেদেলার ডিভিশন বেঞ্চের মন্তব্য, রেলের আধিকারিকরা আর একটু দায়িত্ব নিলে এই পরিস্থিতি এড়ানো যেত। পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, কোথাও একটা উপেক্ষা হয়েছে।