ওয়াশিংটন: সদ্যই আমেরিকার গদিতে বিরাজমান হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরই মার্কিন মুলুকের সার্বিক উন্নয়নের উদ্দেশে একগুচ্ছ পরিবর্তন আনার প্রচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন ট্রাম্প। মূলত, সারা বিশ্বে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও ভোটদানে সাধারণ মানুষের মনে উৎসাহ বাড়াতে আর্থিক অনুদান দিত আমেরিকা। ভারতেও আসত পাশ্চাত্যের এই দেশের অনুদান। তবে এবার সেই অনুদানে ইতি টানতে তৎপর ট্রাম্প। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মার্কিন সফরে ট্রাম্পের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্কের বার্তা দেওয়া হলেও বাস্তবে তা লাভজনক হল না।
মঙ্গলবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ভারতীয় ভোটারদের ভোটদানে উৎসাহ দিতে যে ২১ মিলিয়ান ডলারের আর্থিক সাহায্য করা হতো, তা এখন থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শুধু ভারতই নয়, গোটা বিশ্বে একাধিক দেশে এই খাতে মার্কিন প্রশাসন খরচ করত প্রায় ৪৮৬ মিলিয়ন ডলার। যা ‘অপব্যয়’ হিসেবেই দেখছেন ট্রাম্প। তাই এই অনুদান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এরপর জানানো হয়, ভারতের জন্য বরাদ্দ করা ২১ মিলিয়ন ডলারের আর্থিক সাহায্যও বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ১৮২ কোটি টাকা। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘কেন আমরা ভারতকে ২১ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছি? তাদের অনেক টাকা আছে। আমাদের উপর সর্বোচ্চ শুল্ক চাপানো দেশগুলির মধ্যে একটি ভারত। তাদের শুল্ক অনেক বেশি হওয়ার জেরে আমরা তাদের সঙ্গে সেভাবে বাণিজ্য করতে পারি না। ভারত এবং তাদের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমার অনেক শ্রদ্ধা রয়েছে ঠিকই, কিন্তু তার জন্য ভোটারদের উৎসাহ দিতে আমরা ২১ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেব?’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি মার্কিন সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভারতীয় অভিবাসী ইস্যু নিয়ে বিরোধীরা মানবাধিকার প্রসঙ্গ টানলেও মোদী কিন্তু শিকল পরানো দেশবাসীদের প্রতি করুণা দেখাননি। বরং ট্রাম্পের এই বিতর্কিত পদক্ষেপকে সমর্থন জানান তিনি। ভারতীয়দের এই দুরাবস্থাতেও যখন নরেন্দ্র মোদী ট্রাম্পের সামনে চুপ রইলেন, তখন কূটনীতিকরা মনে করছিলেন আগামীতে হয়ত ট্রাম্প ভারতের জন্য লাভজনক কিছু ঘোষণা করতে পারেন। তবে মোদীর ‘সুসম্পর্ক’-এ জল ঢেলে এবার অনুদান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।