নয়াদিল্লি: কেন্দ্রের বাজেটে বেকারত্বের উল্লেখ নজরে না পড়লেও সারা দেশে বেকার যুবক-যুবতিদের হাহাকার কিন্তু কমছে না। দেশের বিভিন্ন রাজ্যের এই বেকারত্বের সমস্যা রীতিমতো ভাবাচ্ছে। তবে এই বেকারত্বের সমস্যা পশ্চিমবঙ্গে তুলনামূলক কম। এমনটাই জানাচ্ছে কেন্দ্র। জাতীয় গড়ের তুলনায় কম বাংলায় বেকারত্বের হার। কেন্দ্রের রিপোর্টেই মিলছে এহেন তথ্য।
মঙ্গলবারই প্রকাশিত হয়েছে কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যন ও কর্মসূচি রূপায়ণ মন্ত্রকের ‘পিরিওডিক লেবার ফোর্স সার্ভে’র ত্রৈমাসিক রিপোর্ট, অক্টোবর – ডিসেম্বর, ২০২৪। সেখানেই দেখা যাচ্ছে, বাংলায় তুলনামূলক কম মাত্রায় বেকারত্বের সমস্যা। শুধু শেষ ত্রৈমাসিকই নয়, ২০২৩ সাল থেকে প্রতিটি ত্রৈমাসিক রিপোর্টেই শহুরে বেকারত্বের ক্ষেত্রে বাংলার হার জাতীয় হারের তুলনায় অনেকটাই কম বলে দেখা গিয়েছে।
এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলায় শহর এলাকার বেকারত্বের হার ৫.৭ শতাংশ, যা জাতীয় হার ৬.৪ শতাংশের তুলনায় অনেকটাই কম। শহরের পুরুষদের বেকারত্বের জাতীয় হার ৫.৮ শতাংশ, পশ্চিমবঙ্গে তা ৫.৪ শতাংশ। আবার শহর এলাকার মহিলাদের বেকারত্বের জাতীয় হার যেখানে ৮.১ শতাংশ, সেখানে বাংলায় তা অনেকটাই কম, ৬.৪ শতাংশ।

এই রিপোর্টে আরও একটি বিষয় লক্ষ্যণীয়, যে ১১টি রাজ্যে শহরের বেকারত্বের হার জাতীয় হারের তুলনায় বেশি, তাদের বেশিরভাগই বিজেপিশাসিত। উত্তরপ্রদেশ, বিহার, অসম, রাজস্থান, ওড়িশা, ছত্তিশগড়, উত্তরাখণ্ডের পাশাপাশি কেরল, অন্ধ্রপ্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ এবং সবার শীর্ষে রয়েছে জম্মু-কাশ্মীর। শেষ রিপোর্টে যে সমস্ত রাজ্যগুলির শহুরে বেকারত্বের হার জাতীয় হারের তুলনায় কম, তাতে বাংলা-সহ যে কয়েকটি রাজ্য রয়েছে সেগুলি হল পাঞ্জাব, কর্নাটক, তেলেঙ্গানা, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, দিল্লি ।
এই রিপোর্ট প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা তো বারবারই বলছি, আমাদের বেকারত্ব ৪০ শতাংশ কমেছে। জাতীয় স্তরে বেকারত্বের হার বেড়েছে, কিন্তু বাংলায় কমেছে। এখন কেন্দ্রীয় রিপোর্ট আমাদের দাবিই মেনে নিল। রিপোর্টটি শহুরে বেকারত্বের হারের উপর হলেও আগামী দিনে গ্রামীণ ক্ষেত্রে বা সার্বিক বেকারত্বের হার নিয়ে কেন্দ্র যে রিপোর্ট প্রকাশ করবে, সেখানেও বাংলায় বেকারত্বের হার কম থাকবে, তা নিশ্চিত করে বলতে পারি।”