সুযোগ বুঝেই ফের ধর্মীয় মেরুকরণ ও বিভাজনের ঘৃণ্য তাস তাদের আস্তিন থেকে বার করেছে বিজেপি। বিগত সাত মাস ধরে বাংলাদেশে চলছে চূড়ান্ত অশান্তি ও নৈরাজ্য। এ রাজ্যেও সেই পরিস্থিতিকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করে ধর্মীয় হিংসায় ইন্ধন জোগানোর চেষ্টা করছে গেরুয়াশিবির। মঙ্গলবার সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেই বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বিজেপিকে তুলোধোনা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাফ জানালেন, “আমরা আছি বলেই রাজ্যটা এখনও শান্ত।”
এদিন সরস্বতী পুজো নিয়ে বিজেপির করা মিথ্যাচারী অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে বিধানসভায় বিজেপির বিভাজন-রাজনীতিকে একহাত নেন মমতা। বলেন, “আমরা আছি বলে বাংলা এখনও শান্ত আছে। বাংলাদেশ এই পরিস্থিতির পরও তার আঁচ রাজ্যে পড়েনি। এটা সর্বধর্ম সমন্বয়ের বাংলা। এটা সব ধর্মের দান। এটা সব জাতির মানুষের দান।” এর পরই শুভেন্দুকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। “আপনারা তো বর্ডারে গিয়ে উসকেছিলেন। বাংলার মানুষকে উসকেছিলেন। ভুলে গিয়েছিলেন বাংলাটা দেশের মধ্যেই, দেশের বাইরে নয়”, বলেন তিনি।
পাশাপাশি, মমতার কথায়, “বাংলা গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য। সারা ভারতবর্ষের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য।” মুখ্যমন্ত্রী এও মনে করিয়েছেন, বাংলার সঙ্গে একাধিক রাষ্ট্রের সীমান্ত এলাকা যুক্ত। বাংলা উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশপথ। বাংলা সিকিমের প্রবেশপথ। বাংলা ভৌগোলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ, ঐতিহাসিকভাবে তাৎপর্যবাহী। অভ্যন্তরীণ এবং বৈদেশিক দুই নিরাপত্তার জন্যই বাংলা গুরুত্বপূর্ণ। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, উসকানি দিয়ে বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার ছিল বলেই সেটা সম্ভব হয়নি। “আমরা আছি বলে দেশের কোনও ব্যাপারে বাংলা প্রশ্ন তোলে না। আপনারা আমায় জঙ্গিদের সঙ্গে মিলিয়ে দিচ্ছেন। আমার মরে যাওয়া ভালো। আমি চাই সব দেশ ভাল থাকুক, বাংলাদেশ ভাল থাকুক”, বক্তব্য মমতার।