প্রতিশ্রুতিমতোই রাজ্য সরকারের প্রস্তাবিত দেউচা-পাঁচামি কয়লাশিল্প এলাকার ১৪৩ জনের হাতে জমির সংশোধিত পরচা তুলে দেওয়া হল। সোমবার চাঁদা, আলিনগর, গাবারবাথান, সাগরবাঁধি, বরোমেশিয়া, এই পাঁচটি অঞ্চলের মানুষদের হাতে পরচা তুলে দিলেন বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায়। পরে পর্যায়ক্রমে কয়লাশিল্পের জন্য এঁদের কাছ থেকে প্রয়োজনে জমি কেনা হবে। ফলে জমিদাতা পরিবাররা ক্ষতিপূরণ বাবদ আর্থিক সহায়তা পাবেন পাশাপাশি পাবেন একটি করে সরকারি চাকরিও।
জেলাশাসক জানিয়েছেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকল্প ঘোষণার দিন ভাষায় বলে দিয়েছিলেন খনি অঞ্চলের সঙ্গে যে সাধারণ মানুষ ওতপ্রোতভাবে জড়িত রয়েছেন তাঁদের আবেগকে সম্মান জানিয়ে কয়লাশিল্প গড়ে তুলতে হবে। প্রথম থেকেই আমরা আদিবাসী ভাই-বোনেদের নিয়ে বারবার বৈঠক করেছি। কীভাবে এলাকায় মানুষের স্বার্থরক্ষা করে শিল্পকে বাস্তবায়িত করা যায় তা নিয়েও এখানকার মানুষ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। কিছুজনের জমির রেকর্ডের সমস্যা ছিল। আপৎকালীন ভিত্তিতে শিবির করে তাঁদের জমির কাগজ সংশোধন করে দেওয়া হয়েছে।”
এর পাশাপাশি যে খাস জমির উপর কয়লা উত্তোলনের কাজ শুরু করা হয়েছে, সেখানকার গাছগুলো পুনঃস্থাপনের কাজ সফলভাবে এগোচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই দেউচা-পাঁচামি কয়লাশিল্প নিয়ে খুশি এলাকাবাসীরা। সাগরবাঁধ এলাকার দুই মহিলা জানিয়েছেন, “প্রশাসনের তরফে আমাদের জমির পরচা দেওয়া হল। এতদিন আমরা বাস করলেও জমির কাগজপত্র ছিল না। তা পেয়ে গেলাম।” মুখ্যমন্ত্রীকে অকুণ্ঠ ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁরা।