সদ্যই রাজ্য বাজেটে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে বড় ঘোষণা করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। বরাদ্দ হয়েছে ৫০০ কোটি টাকা। রবিবার, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে প্রথম রিভিউ বৈঠক অনুষ্ঠিত হল ঘাটাল টাউন হলে। ছিলেন সেচমন্ত্রী মানসরঞ্জন ভুঁইয়া, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী শিউলি সাহা, সাংসদ দীপক অধিকারী, জেলাশাসক খুরশেদ আলি কাদরি, পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার, মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস প্রমুখ। বৈঠকের পর দেব জানালেন, “ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নের জন্য শুধুমাত্র রাজ্য সরকার নয়, ঘাটালের প্রত্যেকটি মানুষের পাশাপাশি প্রতিটি রাজনৈতিক দলেরও সহযোগিতা লাগবে। এর শিলান্যাস করবেন আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওঁর কাছে তারিখ চাইব। সেই তারিখেই শিল্যান্যাস হবে।”
সেচমন্ত্রী মানস বলেছেন, শিগগিরই কাজ শুরু হবে। তাই এই বৈঠকের আয়োজন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান রূপায়ণের কথা জানান। পাশাপাশি ঘাটালে তৃণমূল প্রার্থী দীপক অধিকারী ওরফে দেবের সমর্থনে রোড শোয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, “দেব ঘাটাল থেকে তৃতীয়বার জয়ী হয়ে সাংসদ হলেই, রাজ্য সরকার নিজের কোষাগার থেকে অর্থ দিয়ে রূপায়ণ করবে।” এরপর তৃতীয়বারের জন্য সংসদে যান দেব। ২০২৫-এর বাজেটে বরাদ্দ হয় ৫০০ কোটি টাকা।
এদিনের বৈঠকের পর দেব জানান, “২৪-এর ভোটের আগেই আমি মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছিলাম, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান যদি তৈরি হয় তাহলে এই ভোটে দাঁড়াব। সেই মতোই মুখ্যমন্ত্রী ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে অনেকগুলি রাজনৈতিক দলের সরকার এবং অনেক এমপি চেষ্টা করেছেন। করে উঠতে পারেননি। আমি এবং আমার দল তথা রাজ্য সরকার চেষ্টা করেছি।” সাংসদের কথায়, আজ এই জয় শুধু সরকারের নয়, ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সাধারণ মানুষ এবং যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণের জন্য আন্দোলন করেছিলেন, তাঁদের জয়। দেব নিশ্চিত ছিলেন যে, টাকা বরাদ্দ হবে। তাই কীভাবে জমি নিয়ে রূপায়ণ করা যাবে সে বিষয়েই আলোচনা হয়েছে রবিবারের বৈঠকে।