শুক্রবার থেকেই শুরু হয়ে গেল উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগ। উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও গুজরাত জায়ান্টস। দুরন্ত ছন্দেই ডব্লিউ পি এল অভিযান শুরু করল গতবারের চ্যাম্পিয়ন বেঙ্গালুরু। আর তাদের জয়ের মূল কারিগর বঙ্গতনয়া রিচা ঘোষ। রিচার বিধ্বংসী ব্যাটিংই জয় এনে দিল আরসিবিকে। ২৭ বলে অপরাজিত ৬৪ রান করলেন রিচা। আরসিবি জিতল ৬ উইকেটে। পাশাপাশি, ডব্লিউ পি এলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ডও গড়ল তারা।
ভদোদরা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক স্মৃতি মন্ধানা। গুজরাত টাইটান্সের ইনিংস শুরু হয় খানিক মন্থর গতিতেই। ৪১ রানের মধ্যে দুই উইকেটও হারায় তারা। বেথ মুনি (৫৬) রানের গতি বজায় রাখছিলেন। জ্বলে উঠলেন গুজরাতের অধিনায়ক অ্যাশলে গার্ডনার। ৩৭ বলে ৭৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। মারেন ৩টি চার ও ৮টি ছয়। দিয়ান্দ্রা ডটিনও ১৩ বলে ২৫ রান করে যোগ্য সঙ্গত দেন তাঁকে। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে ২০১ রান করে তারা।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপাকে পড়ে আরসিবি। মাত্র ৯ রান করে ফেরেন অধিনায়ক স্মৃতি। অন্যদিকে ড্যানি ওয়াট-হজও ৪ রান করে আউট হন। এরপর আরসিবিকে ভরসা জোগান এলিসে পেরি। ৩৪ বলে ৫৭ রান করেন তিনি। তবে রাঘবি বিস্তের ২৭ বলে ২৫ রানের ধীর গতির ইনিংস চাপ বাড়িয়ে দেয়। এলিসে যখন আউট হন, তখনও ম্যাচ জিততে প্রয়োজন ছিল ৯৩। হাতে বল ছিল মাত্র ৪৪। যা সহজসাধ্য ছিল না একেবারেই। তবে রিচার ব্যাটিং-ঝড় শুরু হতেই জয়ের সম্ভাবনা ক্রমশ উজ্জ্বল হয়ে উঠতে থাকে বেঙ্গালুরুর। অ্যাশলে গার্ডনারের এক ওভারে ২৩ রান তোলেন রিচা। মাত্র ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি পূরণ করে ফেলেন। বোলারদের রেয়াত করেননি কণিকা আহুজাও। তিনি ১৩ বলে ৩০ রান করেন। ২৭ বলে ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন রিচা। ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ শেষ করেন তিনি। ৯ বল বাকি থাকতেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় আরসিবি। ম্যাচের সেরা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে রিচাকেই।