সদ্যই রাজ্য বাজেটে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে বড় ঘোষণা করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। বরাদ্দ হয়েছে ৫০০ কোটি টাকা। এবার রাজ্য সেচ দফতর জানাল, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য কোনও জমি অধিগ্রহণ করা হবে না। প্রয়োজন মতো জমি কিনে নেওয়া হবে। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে বৃহস্পতিবার দাসপুর ও ঘাটালে দু’দফায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন সেচ দফতরের আধিকারিকরা। এদিন প্রথমে দাসপুর এক নম্বর ব্লকের মিলনমঞ্চে দাসপুর এক ও দুই নম্বর ব্লকের সমস্ত স্তরের জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনায় বসা হয়। পরে বিকেলে ঘাটাল শহরের টাউন হলে ঘাটাল ও চন্দ্রকোনা এক নম্বর ব্লকের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনা করা হয়। তাতে অংশ নিয়েছিলেন সেচ দফতরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার উত্তম হাজরা, অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার উজ্জ্বল মাখাল, ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস, জেলা পরিষদের কৃষি ও সেচ দফতরের কর্মাধ্যক্ষ আশিস হুতাইত প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সহ-সভাপতি, জেলা পরিষদ সদস্যরা।
এদিন ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের মূল ১৪টি বিষয় উঠে এসেছে আলোচনায়। জানা গিয়েছে, মোট সাড়ে ৩১ কিলোমিটার নদী পুনর্খনন করা হবে। সাড়ে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে পাঁচটি স্লুইস গেট তৈরি করা হচ্ছে। ঘাটাল পুর এলাকায় ৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে দু’টি পাম্প হাউস নির্মাণ করা হবে। ঘাটাল পুরসভার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত শিলাবতী নদীর বাম পাড়ে সাড়ে তিন কিলোমিটার গার্ডওয়াল তৈরি করা হবে। এর জন্য ইতিমধ্যেই ৬৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। মোট ৮৬ কিলোমিটার শিলাবতী নদী খনন করা হবে। নিউ কাঁসাই নদীর ৪৮.৭০ কিলোমিটার ড্রেজিং করা হবে। নাড়াজোল সার্কিটের কাছে কিছু জলাশয় খনন করা হবে। এছাড়াও দাসপুরে চন্দ্রেশ্বর খাল সম্প্রসারণ করে সুরতপুরে শিলাবতীর সঙ্গে যুক্ত করা হবে। প্রায় ছয় কিলোমিটার এই খাল খননের জন্য কোনও জমি অধিগ্রহণ করা হবে না। উপযুক্ত মূল্য দিয়ে সমস্ত জমিই কিনে নিতে চায় রাজ্য। এপ্রসঙ্গে সেচ দফতরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার উত্তম হাজরা বলেন, ‘‘দাসপুরের চন্দ্রেশ্বর খাল সম্প্রসারণের জন্য ৫.৮০ কিলোমিটার জমি সরাসরি জমি ক্রয় করা হবে।’’ জানা গিয়েছে, জমি ক্রয়ের জন্য জমির মালিকদের সঙ্গে আলোচনার জন্য পাঁচটি সাব কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে মনিটারিং কমিটির দ্বিতীয় বৈঠক।