কলকাতা: সাইবার প্রতারণা ক্রমশ মাথাচারা দিয়ে উঠছে। ফোন থেকে ওটিপি নিয়ে খালি করা হচ্ছে মানুষের ব্যাঙ্ক। এবার সাইবার প্রতারণা নিয়েই বিশেষ ব্যবস্থা রাজ্য পুলিশের। এই প্রতারণা বানচাল করতে রাজ্য পুলিশের ‘সাইবার শক্তি’ অপারেশন তৎপর হয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের ৪৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে একাধিক অভিযোগ ওঠে সাইবার প্রতারণার। আসানসোল, দুর্গাপুর, বীরভূম সহ আরও বেশ কিছু জেলা থেকে অভিযোগ জমা পড়ে বলে জানান এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার। কোনও বিখ্যাত সংস্থার নাম করে মূলত সাইবার প্রতারণা করা হয়।
রাজ্যজুড়ে ক্রমশ বাড়ছে সাইবার প্রতারণা। তা রুখতে বিশেষ উদ্যোগ রাজ্য পুলিশের। অপারেশন ‘সাইবার শক্তি’র বিরাট সাফল্য। গত ১৫ দিনে রাজ্যের প্রচুর সংখ্যক সিমকার্ড, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও ফ্রিজ করেছেন তদন্তকারীরা। ভুয়ো চাকরি, ভুয়ো বিনিয়োগ, গ্যাস লাইন দেওয়ার নামে প্রতারণা, সেক্সটরশন-সহ একাধিক অভিযোগ ওঠে। এই প্রতারণা রুখতেই ১০টি টিম গঠন করে রাজ্যের সাইবার শক্তি অপারেশন চালু করা হয়।
জানা গিয়েছে, বীরভূম, আসানসোল, চন্দননগর, পূর্ব বর্ধমান-সহ একাধিক জায়গায় ছোট ছোট দলে ঘাঁটি গেড়ে বসে প্রতারণা করা হচ্ছিল। এরা প্রত্যেকেই ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া গ্যাংয়ের সঙ্গে যুক্ত। বিভিন্ন সূত্র ধরে এরপরেই ৪৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। সুপ্রতীম সরকার জানিয়েছেন, ধৃতরা বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে বাড়ি ভাড়া নিত। সেখানে বসে প্রতারণা করত। তারপরই গা ঢাকা দিত তারা। ধৃতদের কাছ থেকে বিপুল সংখ্যক ডেবিট, ক্রেডিট কার্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মাসখানেকের মধ্যে পাওয়া ২৫০টি অভিযোগের ৯০ শতাংশ সমাধান করা হয়ে গিয়েছে।
সুপ্রতীম সরকার জানান, বেশকিছু ব্যাঙ্ক অ্যাকাইউন্টও ফ্রিজ করা হয়েছে। ওই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে ঠিক কত পরিমাণ টাকা পাওয়া গিয়েছে, তা অবশ্য এখনই জানাননি এডিজি দক্ষিণবঙ্গ। প্রতারণার চক্র ফাঁস করে কয়েক কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে, সে টাকা প্রতারিতদের ফেরানর ব্যবস্থাও করছে রাজ্য পুলিশ।