আগামী বছরই বিধানসভা নির্বাচন বাংলায়। ইতিমধ্যেই তার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে শাসকদল তৃণমূল। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্টতই জানিয়েছেন, নির্বাচনে একাই লড়বে ঘাসফুল শিবির। এবার একই সুর ফুটে উঠল দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠে। ছাব্বিশের নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের সম্ভাবনা কতটা রয়েছে, সেই প্রশ্নের জবাবে একক লড়াইয়ের কথা জানালেন অভিষেক। সঙ্গে বিজেপিকে একহাত নিয়ে তাঁর মন্তব্য, “বলা ও করে দেখানোর মধ্যে অনেক পাথর্ক্য রয়েছে। বিজেপি বলতেই পারে ২৯৪ আসনের মধ্যে ২৯৪টিই জিতবে।” গতবছর লোকসভা নির্বাচনে বিরোধীরা ইন্ডিয়া জোট তৈরি করলেও রাজ্যে তৃণমূল একাই লড়েছিল। রাজ্যের শাসকদলের আসন সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২৯-এ। এছাড়াও বিধানসভার উপনির্বাচনগুলিতেও বিরোধীরা পর্যুদস্ত হয়েছে।
স্বাভাবিকভাবেই এহেন ফলাফলের পর তৃণমূল একাই লড়বে, তা কার্যত নিশ্চিত ছিল। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে সেই কথাই বলেছেন অভিষেক। তৃণমূল ২০১১ সালের বিধানসভার জোটসঙ্গী কংগ্রেসকে নিয়ে আগামী বিধানসভা নির্বাচন লড়বে কি না, সেই প্রশ্নের উত্তরে তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড জানান, “দিদি তো বলেই দিয়েছেন। আমরা তো আগের নির্বাচনগুলো একাই লড়েছি। একা লড়ে আমরা ভালো ফল করেছি। আগামী নির্বাচনও একাই লড়ব।”
সম্প্রতি দিল্লীর বিধানসভা ভোট জেতার পর রাজ্য বিজেপি দাবি করেছে, তারা বিপুল ভোটে জিতে বাংলাতেও ক্ষমতায় আসবে! এপ্রসঙ্গে গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষে বিঁধে অভিষেক বলেন, “বিজেপি তো একুশের বিধানসভা ভোটেও বলেছিল তারা বাংলাতে ২০০-র বেশি আসন পাবে। লোকসভা নির্বাচনেও বলেছিল ৩০টি আসন জিতবে। দেশের মধ্যে বাংলাতে সবচেয়ে ভালো ফল করবে এমন কথাও শোনা গিয়েছিল। কিন্তু তাদের আসন সংখ্যা ১৮ থেকে নেমে ১২ হয়েছে। মুখে বলা ও করে দেখানোর মধ্যে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। ওরা ২৯৪ আসনের মধ্যে ২৯৪টিই জিতবে বলতেই পারে।” ২০১১ সালের রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকে সবস্তরের নির্বাচনে একাই লড়েছে তৃণমূল। ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে ২১১টি আসন পায় শাসকদল। ২০২১ নির্বাচনে শাসকদলের আসন সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২১৫টি। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ঝুলিতে গিয়েছে ২৯টি আসন।