বুধবার বিকেলে পেশ হতে চলেছে রাজ্য বাজেট। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটিই মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃতীয় মেয়াদের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। স্বাভাবিকভাবেই বাজেটের দিকে সাগ্রহে চেয়ে রয়েছে একাধিক মহল। ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যের আমজনতার হাতে নগদের জোগান বাড়িয়ে ৩৪ বছরের ধুঁকতে থাকা অর্থনীতিকে সচল করেছেন মমতা। তাঁর চালু করা একগুচ্ছ জনকল্যাণমূলক কর্মসূচিতে ভর করেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলা। একাধিক প্রকল্পের টাকা কেন্দ্র বন্ধ করে রাখলেও রাজ্যের টাকায় প্রান্তিক মানুষের ন্যায্য প্রাপ্য নিশ্চিত করেছেন মমতা। এবারের বাজেটেও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করা হতে পারে বাজেটে। বুধবার বিকেল চারটেয় বিধানসভায় পেশ হবে রাজ্য বাজেট। সূত্রের খবর, ৬ শতাংশ ডিএ ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কৃষক বন্ধুর মতো একাধিক প্রকল্পকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। নানান সামাজিক প্রকল্পে রাজ্য সরকার ভাতা বৃদ্ধির পথে হাঁটতে পারে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
প্রসঙ্গত, ২০২৪’র জানুয়ারি থেকে ১০ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা দিতে শুরু করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। গত অর্থবর্ষের বাজেট প্রস্তাব পেশ করার সময় আরও ৪ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করেন চন্দ্রিমা। ফলে গত বছরের মে মাস থেকে ১৪ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী, পুরসভা-পঞ্চায়েতের কর্মী এবং পেনশন প্রাপকরাও উপকৃত হন। বিভিন্ন মহল থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, এবার বাজেটেই ছয় শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকী চলতি অর্থবর্ষের মতো আগামী আর্থিক বছরেও রাজ্য সরকার দু’বার ডিএ বৃদ্ধি করতে পারে। দুর্গাপুজোর আগে বা পরে মহার্ঘ ভাতা আরও ৩-৪ শতাংশ বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। ২০২৬-র জানুয়ারি থেকে তা কার্যকর হতে পারে। চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের জন্য বাজেটে কোনও ঘোষণা থাকে কি না, সেদিকেও নজর রয়েছে। পরিকাঠামো উন্নয়নেও এবার বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য, শিক্ষার পাশাপাশি এ রাজ্যে বিনিয়োগ টানতে শিল্প সংক্রান্ত পরিকাঠামো ঢেলে সাজানো হবে। গ্রামীণ এলাকার পাশাপাশি, শহরাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ ক্ষেত্রেও বিশেষ জোর দিচ্ছে রাজ্য।
