ফর্মে ছিলেন না একেবারেই। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে নিষ্প্রভ ছিল তাঁর ব্যাট। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজের প্রথম ম্যাচেও রান পাননি। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই স্বমহিমায় ফিরে এলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। খেললেন ৯০ বলে ১১৯ রানের দুরন্ত ইনিংস। ৪ উইকেটে ম্যাচ জিতে সিরিজ পকেটে পুরে ফেলল টিম ইন্ডিয়া। রবিবার কটকে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার। শুরুটা খারাপ করেনি ইংল্যান্ড। ঝড় তুলে দিয়েছিলেন ফিল সল্ট ও বেন ডাকেট। দুজনের জুটিতে ওঠে ৮১ রান। সেটা ভাঙেন এদিনই ওয়ানডেতে অভিষেককারী বরুণ চক্রবর্তী। অন্যদিকে ডাকেটকে আউট করলেন রবীন্দ্র জাদেজা। ৫৬ বলে ৬৫ রান করে ফেরেন ইংরেজ ওপেনার। সেখান থেকে রানের গতি কিছুটা কমে যায় জাদেজার সৌজন্যে। তুলে নেন রুট ও জেমি ওভারটনের উইকেটও। তার মধ্যেও জো রুট ৬৯ রান করে ইংল্যান্ডের ইনিংসকে শক্ত ভিতে দাঁড় করিয়ে ফেরেন। বাটলারকে (৩৪) ফেরান হার্দিক পাণ্ডিয়া। শেষবেলায় লিয়াম লিভিংস্টোন ৩২ বলে ৪১ রান করে শেষ ওভারে রান আউট হন। ৩০৪ রানে শেষ হয় ইংল্যান্ডের ইনিংস।
রান তাড়া করতে নেমে ঝোড়ো গতিতেই শুরু করেন রোহিত-শুভমন। ১৩৬ রানের পার্টনারশিপ গড়েন তাঁরা। ৫২ বলে ৬০ রান করে আউট হন শুভমন। রান পেলেন না বিরাট কোহলি। ৮ বলে ৫ রান করে আদিল রশিদের বলে খোঁচা দিয়ে ফিরলেন তিনি। অন্যদিকে রোহিত ছিলেন বিধ্বংসী। ১১৯ রানের ইনিংসে মারলেন ১২টি চার, ৭টি ছয়। রোহিত আউট হওয়ার পর ধীরে-সুস্থে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যান অক্ষর প্যাটেলরা। তাঁর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে ৪৪ রান করে রান আউট হন শ্রেয়স আইয়ার। রান পেলেন না কেএল রাহুল (১০)। শুরুটা ভালো করেও দ্রুত ফিরে যান হার্দিক পাণ্ডিয়া (১০)। তবে ম্যাচ জিততে অসুবিধা হয়নি। রবীন্দ্র জাদেজার সঙ্গে জুটি বেঁধে ভারতকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন অক্ষর। ম্যাচের সেরা হিসেবে রোহিত শর্মাকে বেছে নেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না। তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে নিল টিম ইন্ডিয়া। সিরিজের শেষ ম্যাচ আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি, আহমেদাবাদে।
