নয়াদিল্লি: সদ্য পেশ করা বাজেটে বেশ কিছু ঘোষণার পরেও তাতে আদতে কি আমজনতার লাভ হবে! সে নিয়ে জল্পনা এখন তুঙ্গে। কেন্দ্রের বাজেটে ওষুধের ওপর আমদানি শুক্ল কমানোর ঘোষণা করা হয়েছে। তাতে সাধারণ মানুষ স্বস্তি পেলেও আসলে এর নেপথ্যের চিত্র দেখলে কিছুটা অবাকই হবেন সকলে। যে ধরণের ওষুধের ওপর শুক্ল কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা কি আদতে আমজনতার কাজে দেবে? তা নিয়ে এখন বিশেষজ্ঞরা অন্য এক চিত্র সামনে আনছেন।
ক্যানসার সহ ৩৬টি জীবনদায়ী ওষুধে ১০০ শতাংশ কর ছাড়ের কথা ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এছাড়াও বাজেটে ৬টি জীবনদায়ী ওষুধে ৫ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। যে ওষুধগুলির ওপর আমদানি শুল্ক হ্রাসের প্রস্তাব তার বেশিরভাগই ভারতে পাওয়া যায় না। বেশিরভাগই পেটেন্ট রয়েছে এমন ওষুধেরই শুল্ক কম করা হয়েছে। ফলে সেই সমস্ত ওষুধের শুল্ক হ্রাস হওয়ায় আদতে কোনও লাভই হবে না। শুল্ক হ্রাস হওয়ার পরেও তা মানুষের নাগালে এসে পৌঁছবে না। কিন্তু নিজেদের ভাবমূর্তি বজায় রাখতে জনসেবার নামে আদতে চোখে ধুলো দিতে ওষুধের শুল্ক হ্রাসের বড়সড় বিজ্ঞাপন করে চলেছে কেন্দ্র।
আমজনতার কথা মাথায় রেখে এই বাজেট নয় বলেও বিশেষজ্ঞরা মনে করেছেন। বিরোধীদের কটাক্ষের মুখে পড়তে হচ্ছে এই বাজেটকে। এর মধ্যেই ওষুধের আমদানি শুল্ক কমানোর যে সিদ্ধান্ত তাতেও সাধারণ মানুষের কোনও অংশেই মিটবে না প্রয়োজন, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রয়োজনীয় ওষুধের শুল্ক নিয়ে কোনও মাথাব্যথা করেনি কেন্দ্র। আমজনতার প্রয়োজনের ওষুধে যথারীতি বজায় থাকছে ১০ শতাংশ শুল্ক।
উল্লেখ্য, আগের বছরেই চোখের ছানি, অ্যাজমা, যক্ষ্মা, থ্যালাসেমিয়া-সহ আরও একাধিক ওষুধের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেয় ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি। ফলে সাধারণ মানুষকে অনেকটা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির চাপের মুখে পড়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলেই জানানো হয়।