কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচেষ্টায় বাংলা এখন বিনিয়োগের সেরা ঠিকানা। প্রথম সারির শিল্পপতিদের লগ্নির ইচ্ছা এখন বাংলাকে উন্নয়নের আলো দেখাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিশ্ববাংলা বাণিজ্য সম্মেলনে কলকাতায় সমস্ত শিল্পপতিদের মুখে মুখে এখন পশ্চিমবঙ্গের নাম। আগামীতে বড়সড় বিনিয়োগের পথ প্রশস্তে সিদ্ধহস্ত মমতা।
মুকেশ আম্বানি বাংলায় বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কার্পেট বিছিয়ে আপনাদের জন্য অপেক্ষা করছেন। বাংলাকে বাণিজ্যের সেরা গন্তব্য বলেও জানান তিনি। আবার, সঞ্জীব গোয়েঙ্কা বলছেন, এখানে জন্মেছি, বড় হয়েছি, যদি বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে যাই ক্ষমা করবেন। গত ১৪ বছর ধরে যে মুখ্যমন্ত্রীকে দেখছি, সেই মুখ্যমন্ত্রী যে কোনও সমস্যার সমাধান খুব দ্রুত করেন।
বিশ্ববাংলা বাণিজ্য সম্মেলন নিয়ে আশাবাদী ছিলেন মমতা। আগামীতে বিনিয়োগ যে ভরে ভরে আসতে চলেছে তা টের পাওয়া যাচ্ছে শিল্পপতিদের মন্তব্যেই। সজ্জন জিন্দাল বলেন, দেশের অনেক জায়গায় গিয়েছি, কিন্তু কোথাও এমন ব্যবসার সুযোগ-সুবিধা পাইনি। আবার হর্ষ নেওটিয়া এখানে বাণিজ্য করলে সাহায্য পাওয়া যায় বলেও জানান। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এবং আমলারা সবসময় সবক্ষেত্রেই সহযোগিতা করে থাকেন।
সকল শিল্পপতি সহ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও মেনে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে অনেক বদলেছে বাংলা। এমনকি নিজের রাজ্যের কথা তুলে ধরে শেষে বাংলার সঙ্গে একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলার কথাও বলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন।
উল্লেখ্য, অষ্টম বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের প্রথম দিনেই ঘোষিত হয় কয়েক লক্ষ কোটি টাকার লগ্নি। মুকেশ আম্বানি থেকে শুরু করে সাতজন একের পর এক লগ্নির ঘোষণা করেন। এদিন মুকেশ আম্বানির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আধঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠকও হয়। অতএব বলা বাহুল্য, আগামীতে বাংলার শিল্প এক অন্য মাত্রা দেখতে চলেছে৷ এ রাজ্যের উন্নোয়নের উড়ানে প্রথম সারির শিল্পপতিরাও যে আগ্রহী তা প্রমাণ করেছে এই বিশ্ববাংলা বাণিজ্য সম্মেলন।