চোট-সমস্যার কারণে দলে ছিলেন না প্রথম সারির একঝাঁক খেলোয়াড়। কাজেই প্রথম একাদশ সাজাতে খানিক বেগ পেতে হয়েছিল কোচ কার্লো আনচেলোত্তিকে। শেষমেশ কোপা দেল রে-র কোয়ার্টার ফাইনালে লেগানেসকে ৩-২ গোলে হারিয়ে প্রতিযোগিতার শেষ চারে পৌঁছল রিয়াল মাদ্রিদ। যদিও সহজে আসেনি জয়। ম্যাচের সংযুক্তি সময়ে গোল করে দলকে জয় এনে দিলেন তরুণ স্পেনীয় ফরোয়ার্ড গঞ্জালো গার্সিয়া। চোটের কারণে এদিনের ম্যাচে কিলিয়ান এমবাপে ও জুড বেলিংহ্যামকে পায়নি রিয়াল। চোট-সমস্যার জেরে ছিলেন না অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার আন্তোনিও রুডিগার ও দাভিদ আলাবাও। একই কারণে নামেননি তরুণ মিডফিল্ডার এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা।
এদিন ম্যাচের শুরুটা সাবলীল ছন্দেই শুরু করে রিয়াল। খেলার ১৮ মিনিটে রদ্রিগোর বাড়ানো বল থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন লুকা মদরিচ। তার কিছুক্ষণ পরেই তরুণ ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকার এন্ড্রিক ডি-বক্সের মধ্যে বল পেয়ে ব্যবধান বাড়ান। যদিও লিড ধরে রাখতে পারেনি রিয়াল। ৩৯ মিনিটে পেনাল্টি থেকে এক গোল শোধ করেন জুয়ান ক্রুজ। দ্বিতীয়ার্ধে সমতা ফেরান তিনিই। এক সময় মনে হচ্ছিল, ম্যাচ গড়াবে অতিরিক্ত সময়ে। এরপর সংযুক্তি সময়ের তৃতীয় মিনিটে ব্রাহিম দিয়াজের ক্রস থেকে নিখুঁত হেডারে বিপক্ষের গোলে বল জড়িয়ে দেন গার্সিয়া। ম্যাচের পর তিনি জানান, “আমি উত্তেজিত। আবেগে ভাসছি। ছোটবেলা থেকে রিয়ালের সিনিয়র দলের হয়ে গোল করার স্বপ্ন ছিল। আমার গোলেই দল সেমিফাইনালে গিয়েছে দেখে খুব ভাল লাগছে।”
বুধবারের ম্যাচে সিনিয়র ফুটবলারদের চোট-বিভ্রাটের কারণে দলের তরুণ ব্রিগেডের উপরেই আস্থা রাখতে হয়েছিল আনচেলোত্তিকে। রক্ষণভাগের দায়িত্ব সামলান দুই তরুণ স্পেনীয় ডিফেন্ডার জ্যাকব রামন ও রাউল অ্যাসেনসিও। আর পরিবর্ত হিসেবে নেমে গোল করে দলকে জেতালেন আর এক তরুণ তুর্কি গার্সিয়া। ম্যাচ শেষে তরুণদের প্রশংসা করে আনচেলোত্তি জানান, “গঞ্জালো রিজার্ভ দলে দুর্দান্ত ছন্দে ছিলেন। এই ম্যাচেও সেটা প্রমাণ করে দেখিয়েছে। আমাদের তরুণ খেলোয়াড়রা বর্তমানে ভাল পারফর্ম করছে। পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতার অভাব থাকলেও মাঠে নামতে তারা প্রস্তুত।” সেমিফাইনালে রিয়াল কাদের মুখোমুখি হবে, তার নির্ধারিত হবে ড্র-এর মাধ্যমে। আগামী সপ্তাহেই আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলবে লস ব্লাঙ্কো বাহিনী। লা লিগায় অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ও উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্লে অফের প্রথম পর্বের ম্যাচে ম্যাঞ্চেস্টার সিটির বিরুদ্ধে নামবেন লুকা মদরিচরা।
অন্যদিকে, ইএফএল কাপের সেমিফাইনালে আর্সেনালকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পাকা করে ফেলল নিউক্যাসল ইউনাইটেড। প্রথম পর্বে আর্সেনালকে ২-০ গোলে হারানোর পর ফিরতি পর্বেও একই ব্যবধানে জিতেছে তারা। দ্বিতীয় পর্বে গোল করেছেন জেকব মার্ফি এবং অ্যান্টনি গর্ডন। আগামী ১৬ মার্চ ফাইনাল। সেখানে লিভারপুল বনাম টটেনহ্যাম ম্যাচের বিজয়ীর বিরুদ্ধে খেলবে তারা। বিগত ২০২১ সালে নিউক্যাসল কিনে নেয় সৌদি আরব নিয়ন্ত্রিত এক সংস্থা। তার পর থেকে উন্নতির পথে এগিয়ে চলেছে ইংল্যান্ডের ফুটবল-জনপ্রিয় ক্লাবটি। শেষ বার ১৯৫৫ সালে এফএ কাপ জিতেছিল নিউক্যাসল। সেটাই তাদের শেষ বড় ট্রফি। ৭০ বছরের পর ঘরোয়া ফুটবলে ফের বড় খেতাব জয়ের স্বপ্নে বিভোর নিউক্যাসলের সমর্থকরা।