বাংলার প্রতি মোদী সরকারের বঞ্চনা ও তাচ্ছিল্যের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে এখনও। সদ্য পেশ হওয়া কেন্দ্রীয় বাজেটেও ফুটে উঠেছে সেই চিত্র। উপেক্ষার অন্ধকারে রয়ে গিয়েছে উত্তরবঙ্গের চা-বলয়। শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি আদায়ে ক্রমাগত আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি। চলছে পথসভা, ঘেরাও, ধরনা, গেট মিটিং। সোমবার নকশালবাড়ি ব্লকের নবাব ডিভিশনে কেন্দ্রীয় সরকারের চা-শ্রমিক বিরোধী নীতির বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন শ্রমিকরা। পিএফের বকেয়া টাকা শ্রমিকদের প্রদান করা, পিএফ দফতর, দালালরাজ বন্ধ করার দাবিও উঠল।
এদিনের কর্মসূচিতে ছিলেন দার্জিলিং সমতল জেলা আইএনটিটিইউসি সভাপতি নির্জল দে, ইউনিট সম্পাদক অশোক প্রধান ও ইউনিট সভাপতি কসমৈত মুন্ডা, মঞ্জার আলম প্রমুখ। নির্জল দে বলেন, “যতদিন না শ্রমিকদের দাবি আদায় হবে ততদিন আন্দোলন চলবে। কেন্দ্র ভেবে না দেখলে আরও বড় আন্দোলন হবে। নিরীহ শ্রমিকদের দিনের পর দিন ঠকিয়েছে কেন্দ্র। এই বঞ্চনার জবাব কেন্দ্রকে দেবেন শ্রমিকরাও।”
এবছরের কেন্দ্রীয় বাজেট নিয়েও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন জেলা সভাপতি। বলেন, “২০২৫-এর কেন্দ্রীয় বাজেটেও ব্রাত্য থাকল উত্তরের চা-বাগান ও চা-শ্রমিকরা। সংকটে থাকা চা-শিল্পের জন্য কোনও প্যাকেজ ঘোষণা করলেন না অর্থমন্ত্রী। বন্ধ বাগান খোলা, চা-বাগানের পরিকাঠামো বা চা-শ্রমিকদের আর্থসামাজিক উন্নয়নেও কোনও বরাদ্দ হয়নি। চা-শিল্পের পুনরুজ্জীবনের জন্য গঠনমূলক পদক্ষেপ, স্বল্প সুদে কার্যকরী মূলধনের জোগান, চা-বাগানগুলির নানা উন্নয়নমূলক খাতে ভর্তুকি, এসবের কিছুই দেখা গেল না বাজেটের আলোচনায়।”
পাশাপাশি, নানা ধরনের সামাজিক প্রকল্পকে প্রত্যন্ত এলাকার চা-শ্রমিকদের মধ্যে আরও ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা গৃহীত হয় কি না, সেদিকেও নজর ছিল চা-বলয়ের। দিনের শেষে কিছুই পূরণ হয়নি সেসবের। চা-শ্রমিকদের উন্নয়নের জন্য ভেবেছেন কেবল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমস্যার সুরাহায় নিজেই বারবার উদ্যোগী হয়েছেন তিনি। অথচ অন্যদিকে বিন্দুমাত্র হেলদোল নেই মোদী সরকারের।