নয়াদিল্লি: সম্প্রতি সংসদে বাজেট পেশের পরেই জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। একাধিক ইস্যু নিয়ে যে মোদী সরকার আমজনতার কথা ভাবছে না, সে নিয়েও গুঞ্জন শুরু হয়ে গিয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে সদ্য প্রকাশিত বাজেটে কেন্দ্রের একটি সিদ্ধান্ত রীতিমতো প্রশ্ন তুলেছে রাজনৈতিক তথা ওয়াকিবহাল মহলে। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অবনতির মাঝেও বাজেটে কিন্ত ওপার বাংলাকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে ভোলেনি মোদী সরকার। বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দের অঙ্কটা দেখে অবাক হচ্ছেন সকলেই।
তীব্র ভারত বিরোধী মনোভাব ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশে। কিন্তু তাতেও কোনো ফারাক পড়েনি বাজেটে। সদ্য পেশ করা বাজেটে অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলোর মতোই বাংলাদেশের জন্যও বরাদ্দ করা হয়েছে টাকা। বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দের পরিমাণ ১২০ কোটি টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষেও একই ছিল বরাদ্দের পরিমাণ। তবে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পরে ভারতের ওপর যে পরিমান বিষ উগড়েছে ওপার বাংলা তার পরেও কি করে এই বাজেটে বাংলাদেশের বরাদ্দের পরিমাণ ১২০ কোটি টাকা রাখা হল? এর নেপথ্যে কেন্দ্রের ঠিক কি ষড়যন্ত্র আছে? তা নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে।

সম্প্রতি হিন্দুবিদ্বেষ তথা সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারে জর্জরিত বাংলাদেশ। সে দেশের অভ্যন্তরীণ অবস্থা অবনতিতে ভারত প্রসঙ্গ বারবার উঠেছে। ইউনূসের জমানায় ভারত বিদ্বেষ আগুনের মতো ছড়িয়েছে বাংলাদেশে। মুখে মুখে শোনা গিয়েছে ভারতের বিরোধিতার বার্তা। কিন্তু তাতেও কি নড়েচড়ে বসেনি কেন্দ্র? এখনও ঘুম ভাঙেনি মোদী সরকারের। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের পেশ করা বাজেট তো সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে।