উত্তরপ্রদেশে মহাকুম্ভে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ও একাধিক মানুষের প্রাণহানি নিয়ে শুক্রবার সংসদে সমস্বরে সরব হল বিরোধীরা। কুম্ভের দুর্ঘটনা নিয়ে আলোচনাতেই কেন রাজি নয় সরকার পক্ষ? উঠল এমনই প্রশ্ন। অথচ সংসদে রাষ্ট্রপতির বক্তৃতায় উল্লেখ রয়েছে মৌনী অমাবস্যায় প্রয়াগরাজের কুম্ভে ঘটে যাওয়া পদপিষ্টের ঘটনা। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু হিন্দিতে তাঁর বক্তৃব্য রাখেন। প্রথা মতো তারই কিছু অংশ ইংরেজি তর্জমায় পড়ে শোনান উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকর। এরপর বিরোধীদের তরফে দাবি করা হয় কুম্ভের ঘটনায় সরকারকে বিবৃতি দিতে হবে। উল্লেখযোগ্য দৃশ্য হল, রাষ্ট্রপতির ভাষণ শুনতে প্রথম সারিতে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর পিছনেই জায়গা ছিল সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অখিলেশ যাদবের। এদিন সংসদ টিভিতে বিরোধীদের তেমন ভালো করে দেখানোই হয়নি বলেই অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এ ব্যাপারে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে অভিযোগও দায়ের করেছেন তিনি।
এদিন অধিবেশন মুলতুবি হওয়ার পর লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার ডাকা বিষয় উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকেও কুম্ভ ইস্যুতে সরব হয় সমাজবাদী পার্টি। সমর্থন করে তৃণমূল সহ সব বিজেপি বিরোধী দল। কিন্তু বৈঠকে উপস্থিত সংসদ বিষয়কমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু এ ব্যাপারে কোনও আশ্বাস দেননি। উল্টে বিরোধীদের দাবি এড়াতে সামান্য সময় পরেই তিনি বলেন, তাহলে মিটিং শেষ। আর তো কিছু বলার নেই। কিন্তু বিরোধীরা কুম্ভ ইস্যুতে একজোট হয়ে চেপে ধরেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ওম বিড়লা বলেন, ঠিক আছে ১২-১৩ ফেব্রুয়ারি দিন দুটি তো ফাঁকা রয়েছে। সরকারের সঙ্গে কথা বলে কুম্ভ ইস্যুতে আলোচনার বিষয়টি ঠিক করা যাবে।
বিষয় উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে ঠিক হয়েছে, আগামী ৩-৪ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতির অভিভাষণের ওপর ধন্যবাদজ্ঞাপনের চর্চা হবে। ৪ ফেব্রুয়ারি জবাব দেবেন প্রধানমন্ত্রী। উল্লেখ্য, তার ঠিক পরেরদিনই (৫ ফেব্রুয়ারি) দিল্লী বিধানসভার ভোট। বাজেট নিয়ে আলোচনা হবে ৬-৭ এবং ১০ ফেব্রুয়ারি। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জবাব দেবেন ১১ তারিখ। ফলে এবারের বাজেট অধিবেশনও যে মসৃণ হবে না, তা একপ্রকার নিশ্চিত।