আদালতে ফের মুখ পুড়ল রাম-বামের। অন্য সংগঠনের হাত ধরে আদালতে জনস্বার্থ মামলা করে ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্প আটকানোর মতলব এঁটেছিল সিপিএম ও বিজেপি। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের বিরোধিতায় দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে কলকাতা হাই কোর্ট সাফ জানিয়ে দিল, জনস্বার্থেই বাংলার সরকার চালু করেছে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প। নির্বাচিত সরকার বিচার-বিবেচনা করে প্রকল্পের সূচনা করেছে বলে জানাল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এই প্রকল্প পরিচালনার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, জনস্বার্থেই বাংলার সরকার চালু করেছে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প। সাধারণ মানুষ এতে উপকৃত হন। এই প্রকল্প বন্ধ করা যাবে না কোনও অবস্থাতেই। ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য, নির্বাচিত সরকার নিজেদের মধ্যে বিচার-বিবেচনা করে প্রকল্পের সূচনা করেছে। ফলত এই প্রকল্প পরিচালনার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকারই।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের প্রতিটি পরিবারকে স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরেই জেলায় জেলায় দুয়ারে সরকার শিবির থেকে ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ড করান অনেকে। এতে পরিবারপিছু স্বাস্থ্যখাতে ৫ লক্ষ টাকা প্রতিবছর বিমা প্রকল্পের সুবিধা পান। এই প্রকল্পে লক্ষ লক্ষ মানুষ ইতিমধ্যেই চিকিৎসা পেয়েছেন বাংলার দরিদ্র মানুষেরা। বেসরকারি হাসপাতালের বিশাল অঙ্কের বিল পে করার ক্ষমতা সকলের থাকে না। তাঁদের কথা চিন্তা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের কথা ভেবেছিলেন। মামলাকারী সংগঠনের বক্তব্য ছিল, এই প্রকল্প জনস্বার্থ নয়, এই প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়া হোক, এতে কারও কিছু হচ্ছে না। কিন্তু প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ তাদের এই যুক্তিকে নস্যাৎ করে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, বাংলার এই প্রকল্প চলবে।
