অভাবনীয় নৃশংসতার প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠল বিজেপিশাসিত উত্তরপ্রদেশে। যে খবর শোনামাত্রই শিউরে উঠছেন প্রত্যেকে। পুরোনো সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে মার্চ মাসে বিয়ে ঠিক হয়েছিল জনৈকা স্কুল শিক্ষিকার। সেই রাগ থেকেই তাঁকে বৃহস্পতিবার জীবন্ত পুড়িয়ে মারল তাঁর প্রাক্তন প্রেমিক! যোগীরাজ্যের প্রতাপগড়ে এক ক্ষেত থেকে সেই তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। অভিযুক্তের শরীরও পুড়ে গিয়েছে। তাকে আপাতত হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পেশায় উক্ত যুবতী একজন স্কুল শিক্ষিকা। বৃহস্পতিবার স্কুল যাওয়ার সময় তরুণীর পথ আটকে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চায় অভিযুক্ত যুবক। তিনি রাজি না হলে বাদানুবাদ শুরু হয়। হঠাৎ তরুণীর গায়ে পেট্রোল ঢেলে ওই যুবক আগুন জ্বালিয়ে দেয়। তা করতে গিয়ে নিজেও পুড়ে যায় সে।
তরুণীর চিৎকার শুনে তড়িঘড়ি ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শিক্ষিকার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। তরুণীর দগ্ধ দেহ আপাতত ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সূত্রের খবর, তরুণীকে দীর্ঘদিন ধরে উত্যক্ত করছিল অভিযুক্ত যুবক। প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিল। অন্য এক জনের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হওয়ার পরেই ওই যুবক তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠে। তারপরই পুড়িয়ে মারে তার প্রাক্তন প্রেমিকাকে। প্রকাশ্য দিবালোকে এহেন ঘটনা আরও একবার বেআব্রু করে তুলল যোগীরাজ্যের প্রশাসনিক ব্যর্থতাকে। ফলত, নারীদের প্রতি ঘৃণ্য অপরাধের ক্ষেত্রে ‘ডবল ইঞ্জিন’ উত্তরপ্রদেশ যে সারা দেশে অগ্রণী, তা বলাই বাহুল্য।
