আগামী ফেব্রুয়ারির শুরুতেই আরম্ভ হতে চলেছে খননকাজ। দেউচা-পাঁচামি কয়লাখনি প্রকল্পে সরকারি খাস জমি পিটিসিএলকে লিজ হস্তান্তর করল জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে নবান্ন থেকে একটি প্রশাসনিক বৈঠকে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে এই কয়লাখনি প্রকল্পের কাজ শুরুর আশ্বাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তৎপরতার সঙ্গে প্রাথমিক খননকারদের জন্য এই সরকারি জমি পিডিসিএলের হাতে সরকারিভাবে তুলে দেওয়া হল। মঙ্গলবার জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মহম্মদবাজারের দেউচা পাঁচামি ও দেওয়ানগঞ্জ হরিণশিঙায় প্রস্তাবিত কয়লাখনি এলাকার ৮৭.৬২ একর সরকারি খাস জমি ৯৯ বছরের লিজ হিসেবে পিডিসিএলের হাতে হস্তান্তর করা হল। এর জন্য পৃথকভাবে দলিল রেজিস্ট্রির মাধ্যমে এই হস্তান্তর কর্মসূচি সম্পূর্ণ হয়। কল ব্লক এলাকার চাঁদা, দেওয়ানগঞ্জ ও নিশ্চিন্তপুর মৌজায় মোট ১৪টি প্লটের এই ৮৭.৬২ একর সরকারি খাস জমি লিজ দেওয়া হয়েছে।
সূত্র অনুযায়ী, এই জমির অংশ থেকেই কয়লাখনি প্রকল্পের প্রাথমিক খননকাজ শুরু হবে। যদিও কয়লা প্রকল্পের আগে এই এলাকায় একটি ব্যাসল্ট খনি করা হবে। কারণ এই অংশে মাটির নিচে প্রথমে বিপুল পরিমাণ ব্যাসল্ট থাকার কারণে সেই ব্যাসল্ট প্রথমে তোলা হবে। সেক্ষেত্রেও আর্থিকভাবে লাভবান হবে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি একই জায়গায় আন্ডারগ্রাউন্ড কয়লাখনির কাজ শুরুর সম্ভাবনাও রয়েছে। বুধবার এই সরকারি খাস জমি হস্তান্তরের মাধ্যমে খনি প্রকল্পের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করল বীরভূম জেলা প্রশাসন। এর ফলে ফেব্রুয়ারি মাসেই খনি প্রকল্পের কাজ শুরুর যে আশ্বাস শুনিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, তা বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে অনেকটাই এগিয়ে গেল জেলা প্রশাসন। প্রশাসনের এই ভূমিকায় খুশির হাওয়া গোটা বীরভূমে। “আজ দেউচা খনি প্রকল্পে ৮৭.৬২ একর সরকারি খাস জমি লিজ হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে। এই জমি ৯৯ বছরের লিজে ভূমি সংস্কার দফতর অর্থাৎ প্রশাসন পিডিসিএলকে নথির মাধ্যমে হস্তান্তর করার ফলে আমরা এই খনি প্রকল্পে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলাম”, জানিয়েছেন জেলাশাসক বিধান রায়।