বৃহস্পতিবার বীরভূমের দেউচা-পাঁচামি কয়লাশিল্প প্রকল্পে জমিদাতা পরিবারদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিলেন জেলাশাসক বিধান রায়। এদিন ১৮টি পরিবারের হাতে নিয়োগপত্র দেওয়া হল। প্রত্যেকেই গ্রুপ ডি পদে যোগদান করলেন তাঁরা। নিয়োগপত্র হাতে পেয়ে অত্যন্ত খুশি আগমনী দত্ত। তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেদিন প্রথম ঘোষণা করেছিলেন দেউচা-পাঁচামিতে এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শিল্প গড়ে তোলা হবে, সেদিন স্বপ্নের মতো মনে হয়েছিল। কারণ দেউচা-পাঁচামি পাথুরে এলাকা। মানুষ অত্যন্ত কষ্ট করে দিন অতিবাহিত করেন। পাথর খাদানে কাজ ছাড়া। তাঁদের সেরকম কর্মসংস্থান ছিল না। সেখানে যে এত বড় কয়লাশিল্প গড়ে উঠবে, ভাবতেই পারেননি তাঁরা।
পাশাপাশি, তিনি বলেন, “জেলা প্রশাসন যখন আমাদের কাছে প্রস্তাব দেয় জমি দেওয়ার জন্য, কিছুটা ইতস্তত করেছিলাম। শেষমেশ মুখ্যমন্ত্রীর ওপর ভরসা রেখেই জমি দিয়েছি বৃহত্তম কয়লাশিল্প গড়ে তোলার জন্য। আজকে চাকরির নিয়োগপত্র হাতে পাওয়ার পর মনে হচ্ছে, ভবিষ্যতে বাংলার অর্থনীতি ভারতের অন্য বড় রাজ্যকে ছাপিয়ে যাবে।” জেলাশাসক জানিয়েছেন, এখনও জুনিয়র কনস্টেবল এবং গ্রুপ ডি পদে ১৬০০-র কাছাকাছি জমিদাতাকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। কয়লাশিল্প বাস্তবায়নে প্রাথমিকভাবে যে পরিমাণ জমির প্রয়োজন ছিল তা প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। অবিলম্বেই কয়লা উত্তোলনের কাজ শুরু করা হবে। পাশাপাশি ৩২ জন এমন রয়েছেন যাঁদের এখনও ১৮ বছর হয়নি, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী সাম্মানিক ভাতা দেওয়া হচ্ছে তাঁদের।