আরও একবার ফুটে উঠেছে বাংলার ফুটবলের সোনালী দিনের আভা। আট বছরের অপেক্ষা শেষে ফুটবলে ফের ভারতসেরা হয়েছে। বাংলা। ভারতীয় ফুটবলের ইতিহাসে যা নিঃসন্দেহ গৌরবময়। বৃহস্পতিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে যায় সন্তোষ ট্রফিজয়ী বাংলা দল। সেখানেই তাঁদের দুহাত ভরে উপহারে ভরিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘোষণা করেন, ফুটবলারদের চাকরি দেওয়ার কথা। তিনি বলেন, তিনি জানেন এই ফুটবলারদের পরিবার চালাতে গেলে চাকরিটা দরকার। নাহলে মন দিয়ে তাঁরা ফুটবলটা খেলতে পারবেন না। তাই তাঁদের চাকরি দেওয়াই শুধু নয়, যেখানে অনুশীলন চলবে এবং খেলা হবে, সেই জায়গাকেই তাঁদের হাজিরার জায়গা হিসেবে গণ্য করা হবে। ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে ক্রীড়া দফতরে তাঁদের চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়ার নির্দেশ দেন মমতা। বাংলার ফুটবলের উন্নতির পথে মূল বাধা অর্থনৈতিক সমস্যা। প্রায় ৮ বছর আগে মৃদুল বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোচিংয়ে শঙ্কর রায়, মনবীর সিংদের বাংলা দল সন্তোষ ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এরপর আর বাংলায় ট্রফি আসেনি। ২০১৭-১৮ এবং ২০২১-২২ সালে দুবার বাংলা কেরলের কাছে ফাইনালে হেরেছিল। কিন্তু এবার সেই কেরলকে হারিয়ে মধুর প্রতিশোধ নিয়েছে সঞ্জয় সেনের প্রশিক্ষণাধীন দল।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সন্তোষ ট্রফি জয়কে শুধু একটা কাপ জয় হিসেবে দেখলে চলবে না। এটা আমাদের বাংলা এবং দেশের গর্ব। আমি চাই আপনারা আরও বড় জায়গায় হয়ে খেলবেন, তার জন্য ঠিকমতো ট্রেনিং, খাওয়ার বিষয় থাকে। বাড়ির লোক নিয়েও চিন্তা থাকে আমি জানি। সেটা যাতে আর না করতে হয়, তাই আমি ব্যবস্থা করছি। সঠিক পরিকাঠামো দিলে এরা ওয়ার্ল্ডকাপ খেলার যোগ্যতা রাখে। প্রত্যেক ফুটবলার, স্টাফ থেকে সকলকে যারা বাংলাকে গর্বিত করেছেন তাঁদের অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। আমি এই জয়লাভের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সামান্য ৫০ লক্ষ টাকার মাধ্যমে প্রীতি, শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানালাম। আমরা অনেক একাডেমি তৈরী করেছি, সেখান থেকে ওরা একদিন অলিম্পিকে খেলবে।” বাংলা ও বিশ্বের সকলে আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও আইএফএ’র সকলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মমতা।