Central Government আরও একবার বেআব্রু হয়ে গেল মোদী সরকারের নির্লজ্জ ‘জুমলা’র চিত্র। প্রকাশ্যে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। যার জেরে কার্যত হাটে হাঁড়ি ভেঙে গেল বিজেপির! ২০২৩-’২৪ অর্থবর্ষে ২,২৪৪ কোটি টাকা ‘চাঁদা’ তুলেছে বিজেপি, যা গত বছরের তুলনায় তিনগুণ। তৃণমূলের অভিযোগ, এই বিপুল অর্থের চাঁদা প্রমাণ করে ক্ষমতা আর টাকা দিয়ে ভোটকে প্রভাবিত করেছে বিজেপি। বিজেপির অ্যাকাউন্টে এই বিপুল টাকার চাঁদা উঠেছে মূলত সাধারণ ব্যবসায়ী, ট্রাস্ট ও কর্পোরেট হাউস থেকে। নির্বাচনী বন্ডের টাকা রয়েছে এই হিসেবের বাইরে। বিজেপিকে এত টাকা দিচ্ছে কারা? প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী দলগুলি। পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতি আর দেশবাসীকে মূল্যবৃদ্ধির খাদে ফেলে দিতে বিজেপি যে দক্ষ, তা প্রমাণ করে দিল ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এই বিপুল অনুদান প্রাপ্তি।২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে ৪০০ পারের স্বপ্ন দেখেছিল বিজেপি। মিথ্যা প্রতিশ্রুতি আর ভাঁওতা দিয়ে তাঁরা টাকা লুঠ করেছে। তাই ভোটের বছরে ফুলে ফেঁপে উঠেছে বিজেপির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। শুধু অনুদানেই ২ হাজার ২৪৪ কোটি টাকা। নির্বাচনী বন্ডের টাকা রয়েছে এর বাইরে। এই হিসেবই বলে দিচ্ছে, কী বিপুল পরিমাণ টাকা এবার নির্বাচনে খাটিয়েছে বিজেপি।
Read More: ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণি থেকেই চালু সেমেস্টার পদ্ধতি – জানাল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ
হিসেব অনুযায়ী, মোট অনুদানের ৫০ শতাংশেরও বেশি চাঁদা পেয়েছে নরেন্দ্র মোদীর দল। তৃণমূলের স্পষ্ট কথা, পুঁজিপতিদের থেকে টাকা আদায় করতেই নির্বাচনী বন্ড এনেছিল বিজেপি। সুপ্রিম কোর্ট তা বাতিল করে দিয়েছে। এই পরিসংখ্যানে বিজেপির ধারে কাছে কেউ নেই। প্রধান বিরোধী কংগ্রেসের তহবিলে এসেছে মাত্র ২৮৮ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা। আর কেসিআরের বিআরএস তুলেছে কংগ্রেসের দ্বিগুণ ৫৮০ কোটি টাকা। সম্প্রতি অনুদানের হিসেব নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছে বিজেপি। তাতেই উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিভিন্ন ইলেক্টোরাল ট্রাস্ট থেকে বিজেপি পেয়েছে ৮৫০ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রুডেন্ট ৭২৩ কোটি, ট্রিম্প ১২৭ কোটি ও আইনজিগারটিগ ১৭.২ লক্ষ টাকা দিয়েছে। বিজেপির দেওয়া তালিকা অনুযায়ী, অনুদানের নিরিখে সবার শেষে রয়েছে বাংলা। বাংলা থেকে সবমিলিয়ে দু’কোটি টাকার মতো চাঁদা পেয়েছে পদ্মশিবির। দু’ধাপে দেড় কোটি টাকা দিয়েছে একটি সিমেন্ট সংস্থা। বিরোধী দলনেতার অবদান ৫১ হাজার টাকা। সোশ্যাল মিডিয়ায় কড়া ভাষায় তোপ দেগেছে তৃণমূল। বলেছে, “বিপুল চাঁদার অঙ্কেই স্পষ্ট বিজেপি টাকার জোরে রাজনীতি করে। টাকা দিয়ে প্রভাবিত করে ভোটকে। এভাবেই তারা গণতন্ত্রকে ভূলুণ্ঠিত করে দিয়েছে। তাই কর্পোরেট অনুদান ছাপিয়ে গিয়েছে জনস্বার্থকে।” এখানেই থেমে থাকেনি তারা। “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, আপনার সরকার মানুষের সেবা করছে? না আপনার সরকার পুঁজিপতিদের ইচ্ছায় চলছে, যাঁরা আপনার দলকে চাঁদা দিয়ে অ্যাকাউন্ট ভরিয়ে দিয়েছে? ভোটাররা সততা চায়, বিক্রি হয়ে যাওয়া সরকার তারা চায় না!”, স্পষ্ট জানিয়েছে ঘাসফুল শিবির।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1872967033002037650?s=19