Industrial Park তৃতীয়বার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পথে শপথ নেওয়ার পর থেকেই রাজ্যকে আরও শিল্পবান্ধব করে তোলার বার্তা দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইমতোই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে তাঁর সরকার। বাংলাকে বিশ্বমানচিত্রে তুলে ধরাই লক্ষ্য মুখ্যমন্ত্রীর। এবার ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের প্রসারে ফের একটি অনন্য পদক্ষেপ নিল রাজ্যের। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তিনটি শিল্প পার্ক গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ক্ষুদ্র থেকে ছোট ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগীদের এক ছাতার তলার আনার প্রক্রিয়া চলছে জেলায় জেলায়। মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলায় উৎপল দত্ত মঞ্চে অনুষ্ঠিত ‘সিনার্জি’তে জেলার শিল্পোন্নয়নে এমনই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। জেলায় তিনটি শিল্প পার্ক গড়ে উঠলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে হাজার হাজার কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।
শিল্পের প্রসার ঘটিয়ে অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে জেলায় জেলায় বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করছে রাজ্য সরকার। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সিনার্জিতে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি রাজেশ পাণ্ডে, ইউ স্বরূপ, নিখিল মণ্ডল, ধাওয়াল জৈন প্রমুখ৷ এছাড়া মন্ত্রী দিলীপ মণ্ডল, বিধায়ক অশোককুমার দেব, মোহনচন্দ্র নস্কর, দুলাল দাস, আবদুল খালেক মোল্লা, অতিরিক্ত জেলাশাসক ভাস্কর পাল, সাদ্দাম নাভাস–সহ অন্য জনপ্রতিনিধি ও আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।
Read More: Kreta Surakha Mela-2024-Consumer Affairs
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২৪-২৫ আর্থিক বছরে কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য ১,১৯০টিরও বেশি আবেদন অনুমোদন করা হয়েছে। ‘বঙ্গশ্রী’ প্রকল্পের অধীনে ২০২৪-২৫ বর্ষে ১.৫৯ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ৬টি ইউনিটে। কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে প্রায় ২,৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে। আগামী বছরগুলোতে এই পরিমাণ ৬,০০০ কোটি টাকা অতিক্রম করতে পারে বলে মনে করে প্রশাসন৷ প্রস্তাবিত শিল্পের মাধ্যমে ৭০ হাজার মানুষের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা রয়েছে। এদিন ক্যানিং-১, কুলপি এবং বজবজ-২ ব্লকের তিনটি রেডিমেড গার্মেন্ট ক্লাস্টারকে স্কুল ইউনিফর্ম তৈরির জন্য সেলাই মেশিন এবং আনুষঙ্গিক সামগ্রী সরবরাহ করা হয়। ব্যয় হয়েছে ৪৮ লক্ষ টাকা। এই তিনটি ক্লাস্টারে যুক্ত রয়েছেন মোট ১,০৪০ জন মহিলা।

এছাড়া বারুইপুরে গ্রিন ফায়ারক্র্যাকার ক্লাস্টারের জন্য ৪১টি স্টলে বিক্রয়কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে৷ যার জন্য খরচ হয়েছে ২.৪৭ কোটি টাকা। এই প্রকল্পটির মাধ্যমে বারুইপুরে আতশবাজি তৈরির জন্য প্রায় ২৫০০ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে৷ এদিন সিএআইপি প্রকল্পের অধীনে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় প্রায় ৯৭ একর জমি নিয়ে তিনটি শিল্প পার্ক স্থাপন প্রকল্পের প্রাথমিক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে এবং ৩ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্ট মহল।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1871988477149216932