নরেন্দ্র মোদীর সাধের ‘আত্মনির্ভর’ ভারতে বারবার প্রকাশ্যে এসেছে জাতিবৈষম্যের ঘৃণ্য প্রতিচ্ছবি। ফুটে উঠেছে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের আস্ফালন। বিভিন্ন সময় নির্যাতনের কবলে পড়েছেন সংখ্যালঘু ও দলিত শ্রেণীর প্রতিনিধিরা। প্রাণও দিতে হয়েছে অনেককে। এবার ফের সেই বর্বরতার সাক্ষী রইল দেশ। ‘ডবল ইঞ্জিন’ উত্তরপ্রদেশে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ডেকে এক দলিত কিশোরকে বিবস্ত্র করে মারধর এবং গায়ে প্রস্রাব করার অভিযোগ উঠল! অপমানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হল বছর ১৬-র সেই ছেলেটি। উত্তরপ্রদেশের বস্তি জেলার এই ঘটনায় নিষ্ক্রিয়তা এবং অভিযুক্তকে আড়াল করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। মৃত কিশোরের পরিবার জানিয়েছে, গত ২০ ডিসেম্বর স্থানীয় এক জনের বাড়িতে জন্মদিনের অনুষ্ঠান ছিল। আমন্ত্রণ পেয়ে সেই অনুষ্ঠানে গিয়েছিল ওই কিশোর। অভিযোগ, সেখানেই ওই দলিত তরুণকে বিবস্ত্র করে মারধর করা হয়। গায়ে করে দেওয়া হয় প্রস্রাবও।
পাশাপাশি, পুরো ঘটনার ভিডিও তুলে সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। ভিডিওটি মুছে দেওয়ার অনুরোধ করলে ওই কিশোরকে থুতু চাটতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ। পরিবারের দাবি, গোটা ঘটনায় অপমানিত ওই কিশোর বাড়িতে এসে পুরো বিষয়টি জানায়। তার পরেই সবার চোখের আড়ালে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয় সে। প্রথমে ছেলের দেহ নিয়ে স্থানীয় থানায় যান তার মা। অভিযোগ, প্রথমে পুলিশ পরিবারের বক্তব্যই শুনতে চায়নি। সেখান থেকে ছেলের দেহ নিয়ে পুলিশ সুপারের অফিসে যান মা এবং পরিবারের অন্য সদস্যেরা। সেখানে দীর্ঘ টালবাহানার পর পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ করতে রাজি হয় বলে জানিয়েছে কিশোরের পরিবার।।কিশোরের মায়ের অভিযোগ, কী কারণে তাঁর ছেলের উপরে অত্যাচার করা হল, তা স্পষ্ট না হলেও কোনও অজ্ঞাত কারণে অভিযুক্তদের বাঁচাতে চাইছে পুলিশ। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে যোগী প্রশাসন।