Mamata Banerjee বড়দিন ও বর্ষবরণের আবহেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ও বার্ধক্যভাতার উপভোক্তাদের জন্য নতুন সুসংবাদ আনল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ষাটোর্ধ্ব লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের উপভোক্তারা সরাসরি বার্ধক্যভাতা পাবেন। সেই পথ প্রশস্ত করতে বার্ধক্যভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রে মাসিক আয়ের ঊর্ধ্বসীমা তুলে দিচ্ছে রাজ্যের সমাজকল্যাণ দফতর। এই সংক্রান্ত খসড়াও তৈরি হয়ে গিয়েছে। মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য ওই খসড়া পাঠানো হচ্ছে। মন্ত্রিসভা সায় দিলেই নতুন বছরে কার্যকর হবে নয়া নীতি। আর তাতে উপকৃত হবেন লক্ষ লক্ষ লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের উপভোক্তা। রাজ্যের ষাটোর্ধ্ব বয়স্ক নাগরিকদের জন্য চালু রয়েছে ‘ওল্ড এজ পেনশন’। রাজ্যের নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ দফতরের তরফ থেকেই প্রবীণ নাগরিকদের মাসিক ভাতা দেওয়া হয়। তবে ওই ভাতা পেতে শর্ত মেনে চলতে হয়। মাসিক এক হাজার টাকার নিচে আয় থাকলেই প্রবীণ নাগরিকরা বার্ধক্যভাতা পান। নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ দফতরের পাশাপাশি রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ ও আদিবাসী উন্নয়ন দফতর, পঞ্চায়েত দফতর, কৃষি দফতর, পুর দফতর, তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর এবং মৎস্য দফতরের মাধ্যমেও বহু নাগরিককে বার্ধক্যভাতা দেয় রাজ্য।
Read More: তৎপর ওয়েবকুপা – কাজ শুরু করে দিল কোর কমিটি
প্রসঙ্গত, বিগত ২০২০ সালের মার্চে বার্ধক্যভাতা সংক্রান্ত সমস্ত প্রকল্পকে এক ছাতার তলায় এনে নাম দেওয়া হয় ‘জয় বাংলা’। তবে ‘ওল্ড এজ পেনশন’-এর ক্ষেত্রে এক হাজার টাকার ঊর্ধ্বসীমার নিয়মটি এখনও বলবৎ রয়েছে। কিন্তু ‘তফসিলি বন্ধু’ (তফসিলি জাতির জন্য) ও ‘জয় জোহার’ (তফসিলি উপজাতির জন্য) প্রকল্পের মাধ্যমে বার্ধক্য ভাতা দেওয়ার ক্ষেত্রে উপভোক্তার আয় সংক্রান্ত কোনও শর্ত নেই। তাই তফসিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত যাঁরা ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ পান, ৬০ বছর হয়ে গেলে তাঁরা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ‘তফসিলি বন্ধু’ বা ‘জয় জোহার’ প্রকল্পের আওতায় বার্ধক্য ভাতা পেতে শুরু করেন। তাই সাধারণ শ্রেণির অন্তর্গত প্রবীণদের বার্ধক্য ভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রে আর্থিক আয়ের ঊর্ধ্বসীমা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সমাজকল্যাণ দফতর। মন্ত্রিসভা ছাড় দিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই বার্ধক্য ভাতা পাবেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের উপভোক্তারা।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1871180931425603654?s=19