Banglar Bari আবাস যোজনা প্রকল্পে বাংলার প্রতি মোদী সরকারের বঞ্চনা ও অবহেলা অব্যাহত রয়েছেই। তবে এমতাবস্থায় রাজ্যবাসীর মুশকিল আসান হয়ে দাঁড়িয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার গৃহহীনদের মাথার ওপর পাকা ছাদের ব্যবস্থা করে দিতে বরাদ্দ হয়েছে প্রথম দফার টাকা। ১২ লক্ষ উপভোক্তাকে ২৫ ডিসেম্বর বা বড়দিনের আগেই প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়ার কাজ শেষ হবে। প্রথম চারদিনেই সাত লক্ষ উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর কাজ শেষ। রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার জানিয়েছেন, বাকি পাঁচ লক্ষকে বড়দিনের আগেই টাকা দেওয়ার লক্ষ্যে তাঁর দফতর কাজ করছে। এর আগে ১৭ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা দেওয়ার আনুষ্ঠানিক সূচনা করেছিলেন। এবার যোগ্য প্রাপকদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর যাবতীয় সমস্যা এড়াতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে রাজ্য পঞ্চায়েত দফতর। নির্দিষ্ট পোর্টালের মাধ্যমেই এই প্রকল্পের যাবতীয় কাজ করা হচ্ছে। অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই রাজ্যের তরফে প্রত্যেক উপভোক্তার মোবাইলে একটি করে এসএমএস পাঠানো হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে কোনও উপভোক্তাকে এখনও পর্যন্ত হয়রানি-দুর্ভোগের শিকার হতে হয়নি বলেই জানিয়েছেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী।
Read More: আম্বেদকরকে অবমাননার প্রতিবাদ – আজ সারা বাংলা জুড়ে ধিক্কার-মিছিল তৃণমূলের
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকারের আবাস যোজনা প্রকল্পে বঞ্চিত এ-রাজ্যের ১২ লক্ষ উপভোক্তাকে রাজ্যের কোষাগার থেকে বাড়ি তৈরির টাকা দেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, দু’দফায় আরও ১৬ লক্ষ মানুষকে এই টাকা দেওয়া হবে বলেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন। ২০২৫ সালের মে-জুন মাসের মধ্যে ৮ লক্ষ এবং ডিসেম্বর নাগাদ আরও ৮ লক্ষ মানুষকে এই টাকা দেওয়া হবে। আবাস যোজনা নিয়ে গত কয়েক বছর ধরেই মোদি সরকারের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সঙ্ঘাত চলছে। বঙ্গ-বিজেপির দুর্নীতির অভিযোগে কেন্দ্র এই খাতে রাজ্যের বরাদ্দ টাকা আটকে দেয়। বিজেপির অভিযোগের তদন্তে একাধিক টিম পাঠায় কেন্দ্র। কিন্তু তাঁরা কোনও দুর্নীতির খোঁজ পায়নি। কেন্দ্রের এই আচরণে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, রাজ্য সরকারই গরিব মানুষের মাথার ওপর পাকা ছাদ গড়ে দেবে। সেইমতো সমীক্ষা শুরু হয়। সমীক্ষায় প্রথম পর্যায়ে ১২ লক্ষ উপভোক্তার নাম চূড়ান্ত করে রাজ্য।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1871115413045870993?s=19