Uttar Pradesh বছরের পর বছর কেটে গেলেও কাটেনি অন্ধকার। বিজেপিশাসিত উত্তরপ্রদেশে নারীসুরক্ষা ও নারীনিরাপত্তার পরিস্থিতি রয়ে গিয়েছে সেই তিমিরেই। ক্রমশ পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নারীনির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনা। আর এবার স্কুলের ভেতরেও শিক্ষিকাদের সুরক্ষা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। উত্তরপ্রদেশের নয়ডার সেক্টর ৭০ এলাকায় একটি স্কুলে শিক্ষিকাদের শৌচাগারে স্পাই ক্যামেরা বসিয়ে ‘নজরদারি’র অভিযোগে উঠল স্কুলের মালিকের বিরুদ্ধে। ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। ১০ ডিসেম্বর স্কুলের শৌচাগারে গিয়ে একটি বাল্ব সকেটের দিকে চোখ পড়তেই সন্দেহ হয় এক শিক্ষিকার। সেখান থেকে ক্ষীণ আলো দেখা যাচ্ছিল। কৌতূহলের বশে তিনি জিনিসটি হাতে নিতে দেখতে পান একটি ছোট্ট ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। সেই মুহূর্তেই বিষয়টি স্কুলের নিরাপত্তারক্ষীকে জানান তিনি।
Read More: রবীন্দ্রনাথের চোখে ঐক্যের ভারত – বিশ্বকবির ‘জনগণমন’ উদ্ধৃত করে সংসদে মোদী সরকারকে বিঁধলেন ঋতব্রত
এরপর নিরাপত্তারক্ষীও নিশ্চিত করেন যে ওটি ক্যামেরা। এরপর সেই শিক্ষিকা স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানান। তাঁর ক্ষোভ, সেদিন অভিযোগ শোনার পরেও স্কুলের ডিরেক্টর নবনীশ সহায় এবং কো-অর্ডিনেটর পারুল কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। উল্টে তাঁরা শিক্ষিকাকে কটু কথা বলবে থাকে। উপায় না দেখে থানায় যান ওই শিক্ষিকা। নয়ডা (সেন্ট্রাল) ডিসিপি শক্তিমোহন অবস্তি তদন্তের নির্দেশ দেন। প্রকাশ্যে আসে স্কুলের ডিরেক্টর নবনীশের কীর্তিকলাপ। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেছেন, শিক্ষিকাদের শৌচাগারে ক্যামেরা তিনি বসিয়েছেন। সূত্রের খবর, ২২ হাজার টাকা দিয়ে স্পাই ক্যামেরা কিনেছিলেন। ক্যামেরাটি একটি বাল্ব হোল্ডারের সঙ্গে যুক্ত। ওই ক্যামেরা দিয়ে লাইভ স্ট্রিমিং ফুটেজ সংগ্রহ করতেন অভিযুক্ত মালিক। শিক্ষিকারা শৌচাগারে গেলে তিনি মোবাইল এবং ল্যাপটপে সেই দৃশ্য দেখতেন। এরপরেই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1869367402515067327
