Trinamool ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রতিশ্রুতি ও প্রচারের ফুলঝুড়ি ছড়ালেও বারবার প্রকাশ্য এসেছে মোদী সরকারের মিথ্যাচারের প্রতিচ্ছবি। সোমবার রাজ্যসভায় সে প্রসঙ্গে ফের মোদী সরকারকে তীব্র আক্রমণে বিঁধল তৃণমূল। এদিন রাজ্যসভায় সংবিধান আলোচনায় অংশগ্রহণ করে সরব হলেন তৃণমূল সাংসদ সাকেত গোখেল, প্রকাশ চিক বরাইক এবং সামিরুল ইসলাম৷ সাকেতের দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লোকসভায় শনিবার যে ১১টি সংকল্প তুলে ধরেছিলেন, সেগুলি আসলে সবই ‘জুমলা’ মাত্র৷ মোদী সরকারের কার্যকালে সংবিধানের সব ক’টি মৌলিক ধারা লঙ্ঘন করা হয়েছে৷ বাংলার ২১ লক্ষ মনরেগা শ্রমিককে তাঁদের বকেয়া ন্যায্য মজুরির টাকা প্রদান করা হয়নি৷ বিলকিস বানোর ধর্ষকদের বেকসুর খালাস করে দেওয়া হয়েছে৷ দিনের পর দিন বিনা বিচারে অত্যাচারের শিকার হচ্ছেন মণিপুরের অধিবাসীরা।
Read More: ডিম-দুধ-মাংস উৎপাদনে ভারতসেরা বাংলা – কেন্দ্রের স্বীকৃতিতে উচ্ছ্বসিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা
পাশাপাশি, সাকেতের প্রশ্ন, “আমাদের জননেত্রী জানেন কীভাবে সামাজিক ন্যায় করতে হয়৷ উনি যেভাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার শুরু করেছেন, মহিলাদের ক্ষমতায়ন করেছেন, তা দেখার পরে এখন অন্য রাজ্যগুলি সেই প্রকল্পকে কপি করছে৷ আমাদের রাজ্যের বিধানসভায় পাশ হওয়া অপরাজিতা বিলকে কেন এখনও সম্মতি দেওয়া হয়নি?” একইরকমভাবে মোদী সরকারের কার্যকালকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তৃণমূলের দুই সাংসদ প্রকাশ চিক বরাইক এবং সামিরুল ইসলামও৷ প্রকাশ চিক বরাইক বলেন, “আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখিয়ে দিয়েছেন কীভাবে একজন চা-শ্রমিকের ছেলেকে সংসদে পাঠানো যায়৷ মোদি সরকার যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো লঙ্ঘন করেছে, বারবার পশ্চিমবঙ্গের টাকা বন্ধ করা হয়েছে অন্যায়ভাবে৷” তৃণমূল সাংসদ সামিরুল ইসলামের দাবি, দেশের মানুষের সাংবিধানিক অধিকারকে ক্ষুণ্ণ করেছে মোদী সরকার৷ সংসদের ভিতরে ও বাইরে বারবার বিরোধী শিবিরের প্রতিনিধিদের কণ্ঠরোধ করা হয়েছে মোদী সরকারের জমানাতেই।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1868933568577389009
