Mamata Banerjee তৃতীয়বার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পথে শপথ নেওয়ার পর থেকেই রাজ্যকে আরও শিল্পবান্ধব করে তোলার বার্তা দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইমতোই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে তাঁর সরকার। বাংলাকে বিশ্বমানচিত্রে তুলে ধরাই লক্ষ্য মুখ্যমন্ত্রীর। সেই লক্ষ্যেই বিদেশি বিনিয়োগ আনতে বিশেষ জোর দিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রতিবছর বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন করে দেশ ও বিদেশের শিল্প ও উদ্যোগপতিদের কাছে বাংলাকে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেন মমতা। বাংলাকে ভারতবর্ষের ‘গ্লোবাল ট্রেডিং হাব’ হিসাবে গড়ে তুলতে চান তিনি। সেই কারণে ৬টি নয়া নীতি প্রণয়নে উদ্যোগী হলেন মুখ্যমন্ত্রী। যাতে শিল্পপতি থেকে শুরু করে উদ্যোগপতিদের নজরে পড়ে বাংলা, তার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব ও পরিকল্পনায় সেই ছয় নীতি প্রণয়নের দিকে অগ্রসর হচ্ছে বাংলার শিল্পমহল। বাংলাকে শিল্পমুখী করে তুলতে প্রথমেই খনি ও সম্পদে জোর দিয়েছেন মমতা। সে জন্য তিনি বালি খনন নীতি ২০২১ প্রয়োগ করেছেন। এই নীতিতে সাতটি পর্যায়ে বালি খাদান ব্লকের নিলাম হয়েছে। চলছে অষ্টম পৰ্বের কাজ। গৌরাঙ্গডিহি এবিসি কয়লা খনিতে সংশোধিত পরিকল্পনার অনুমোদন দিয়েছেন। ২০২৫ সালের মধ্যে উৎপাদন শুরু হবে সেখানে। রাইয়তী ল্যান্ড মাইনিং নীতি প্রয়োগে ৮৭টি লেটার অফ ইনটেন্ট ইস্যু করা হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে তার কাজ শুরু হওয়ার কথা। আর জোর দেওয়া হয়েছে ড্রেজিং অর্থাৎ পলি উত্তোলনে। কম খরচে এই কার্যক্রমগুলি সহায়তা করবে নদীর স্বাস্থ্যরক্ষায় এবং দুর্যোগ প্রতিরোধে।
Read More: ভরসা মমতাই – বাংলার বাড়ি প্রকল্পে প্রথম দফার সাড়ে ৬,৫৬৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করল নবান্ন
পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রীর দ্বিতীয় নীতি হল শিল্পোন্নয়ন। এই নীতিতে শিল্পের জন্য জমি বরাদ্দ করতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কগুলি ডিজিটালি জরিপ করা হয়েছে। নতুন মনিটরিং সফটওয়্যার চালু করা হয়েছে। এছাড়া বিজিবিএস ২০২৩-এ ৪০টি দেশ থেকে আসা চারশোরও বেশি আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদের স্বাগত জানানো হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ১৭টি অংশীদারী দেশ। তৃতীয় নীতি হল কর্মসংস্থান ও উদ্ভাবন। দক্ষতার উন্নতি ঘটিয়ে উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পের অধীনে ১৪টি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ইজ টু ডুয়িং বিজনেসে অংশীদারী প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশনের জন্য নতুন ওয়েব পোর্টাল চালু করা হয়েছে। চতুর্থ নীতিসমূহ হল রফতানি উন্নয়ন নীতি ২০২৩, লজিস্টিক নীতি ২০২৩, অর্থনৈতিক করিডোর নীতি ২০২৩ ও পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি নীতি ২০২৩-এর পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই নীতিসমূহে স্থির করা হয়েছে বিভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা। ভারতের গ্লোবাল ট্রেডিং হাব হিসাবে পশ্চিমবঙ্গকে তুলে আনা, শিল্পের বৃদ্ধির জন্য গ্রিন লজিস্টিকসে নজর দেওয়া, হাইওয়ে বরাবর বিজনেস করিডোরের উন্নয়ন ঘটানো ও দূষণমুক্ত শক্তি উৎপাদনে বৃহৎ বিনিয়োগ আনাই এই নীতিসমূহের উদ্দেশ্য। আর পঞ্চম সংকল্পে মুখ্যমন্ত্রী জোর দিয়েছে গ্যাস পরিকাঠামো রূপায়ণে৷ সিটি গ্যাস বণ্টনের আওতায় ৫৬৫ কিলোমিটার পাইপলাইন অনুমোদিত হয়েছে। শ্রম দিবস তৈরি হয়েছে ১৭ লক্ষ। বিজিসিএল সম্প্রসারণে ১০টি সিএনজি স্টেশন চালু করা হচ্ছে। এর ফলে সস্তায় মিলবে রান্নার জ্বালানি। আর ষষ্ঠ নীতি হল পর্যটনে স্থায়িত্ব আনা। এক্ষেত্রে চা পর্যটন নীতি ২০১৯ প্রয়োগ করে ৫টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এজন্য উত্তরবঙ্গে বিনিয়োগ করা হয়েছে ৩১৬.৪৫ কোটি টাকা ।
Link:https://x.com/ekhonkhobor18/status/1868651390148694396?s=19