Mamata Banerjee বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথগ্রহণের পর থেকেই উত্তরের চা-বলয়ের উন্নতিসাধনের জন্য বিশেষভাবে তৎপর হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইমতোই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকার। মমতার হাত ধরেই চা-বলয়ে এসেছে উন্নয়নের জোয়ার। চালু হয়েছে একের পর এক প্রকল্প। অসংগঠিত শ্রমিকদের ইতিমধ্যে আনা হয়েছে বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা যোজনায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বিএমএসএসওয়াই। এই প্রকল্পের ফলে বিশেষভাবে উপকৃত হবেন চা-শ্রমিকেরা। এই যুগান্তকারী প্রকল্পে রয়েছে, দুর্ঘটনার কারণে যদি কোনও শ্রমিকের মৃত্যু হয় তাহলে তাঁর পরিবার পাবে ২ লক্ষ টাকা। পাশাপাশি স্বাভাবিক মৃত্যু হলে পরিবার পাবে ৫০ লক্ষ টাকা। এ ছাড়াও অসুস্থতা বা দুর্ঘটনার কারণে অক্ষম শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণও দেবে এই প্রকল্প। ইতিমধ্যেই তালিকাভুক্ত শুরু হয়েছে আলিপুরদুয়ারে। ৬১টি চা-বাগানে চলছে কাজ। প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকার ঠিকে চা-শ্রমিকদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের মাধ্যমে পিএফ প্রদানের নথিভুক্তিকরণের কাজ শুরু করে দিয়েছে। শিবির করে চা-শ্রমিকদের তথ্য নেওয়ার কাজ চলছে।
উল্লেখ্য, উক্ত স্কিমে বাগানের নন ওয়ার্কার শ্রমিকদের পিএফ অ্যাকাউন্টে প্রতি মাসে ৫৫ টাকা করে বছরে ৬৬০ টাকা জমা হবে। ৬০ বছর বয়সের পর সুদ সমেত ২ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা পাবেন নন ওয়ার্কার শ্রমিকরা। কর্মরত অবস্থায় কোনও নন ওয়ার্কারের মৃত্যু হলে সেই পরিবার ৫০ হাজার টাকা বিমাও পাবেন। বাম আমলে চা-বাগান ছিল কার্যত ব্রাত্য। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে একের পর এক উন্নয়ন হয়েছে চা-বলয়ে। চা-শ্রমিকদের জন্য চা-সুন্দরী প্রকল্প উপহার দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরও শ্রমিক উন্নয়নে চলছে একের পর এক প্রকল্পের কাজ। রাজ্য সরকারের এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তে স্বাভাবিকভাবেই খুশির হওয়া বইছে চা-শ্রমিকদের মনে।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1867865360210542703?s=19